English Version
আপডেট : ৩ আগস্ট, ২০২১ ১২:৫১

দরজায় গোপন কোড বললেই বেরিয়ে আসে ইয়াবা

অনলাইন ডেস্ক
দরজায় গোপন কোড বললেই বেরিয়ে আসে ইয়াবা

এ যেন নতুন স্টাইলে মাদক ব্যবসা। দরজার সামনে দাঁড়িয়ে দিতে হবে কোড, ব্যাস কোড সঠিক থাকলে সাথে সাথে বের হয়ে আসবে ইয়াবা। ব্যতিক্রমীভাবে এই ইয়াবা কেনা বেচা চলছে চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং আবু সওদাগরের কলোনির গেটের সামনে। গেটের সামনে দাঁড়িয়ে শুরুতে দুই টোকা দিতে হয়। এরপর ভেতর থেকে আওয়াজ আসে, ”কে?”। তখন বলতে হয় নির্দিষ্ট গোপন কোড। কোড বললেই ছোট ছিদ্র দিয়ে বেরিয়ে আসে ইয়াবা।

কোডিং পদ্ধতিতে ইয়াবা বিক্রির সময় দুই নারী মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গেল রোববার (১ আগস্ট) রাতে আবু সওদাগরের কলোনি গেট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন লাকী আক্তার ও নিলুফা বেগম। লাকীর বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ছয়টি এবং নিলুফার বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে।

পুলিশ জানায়, আবু সওদাগরের কলোনির গেটের সামনে তারা ইয়াবা বিক্রি করতেন। গেটের সামনে দাঁড়িয়ে শুরুতে দুই টোকা দিলে ভেতর থেকে আওয়াজ আস কে। তখন গোপন কোড বললেই ছোট ছিদ্র দিয়ে বের করে দেন ইয়াবা।’ ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ মহসীন একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রোববার ওইস্থানে ইয়াবা বেচাকেনার সময় নিলুফাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে লাকিকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৫২ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।’

ওসি আরো বলেন, ‘ তাদের যে কোড ওয়ার্ড, সেটা একেক সময় একেক রকম হতো। যেমন, গতকাল ছিল ‘বিস্কুট’। নির্দিষ্ট সংখ্যক বিস্কুট বলার পর সেই সংখ্যক ইয়াবাই বের হয়। এর আগে ‘গরুর গোশত’ ‘হাড্ডি’ ‘ বিচি’ ইত্যাদি কোড ওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।’ গ্রেপ্তারকৃত দুজনের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে তাদেরকে চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নিলে বিচারক কারাগারে পাঠিয়েছেন বলে জানান ওসি।