English Version
আপডেট : ২ আগস্ট, ২০২১ ১৭:২৯

সকাল ১০ পর লঞ্চ বন্ধ, ছিলনা তেমন যাত্রী চাপ

অনলাইন ডেস্ক
সকাল ১০ পর লঞ্চ বন্ধ, ছিলনা তেমন যাত্রী চাপ

টিটু আহম্মেদ, কেরানীগঞ্জ থেকে: সরকার গার্মেন্টস মালিকদের চাপের মুখে হঠাৎ ঘোষনায় কারখানা খুলে দিয়ে এর আওতাধীন ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া শ্রমিক কর্মচারীদের কাজে যোগদান করতে ১৬ ঘন্টায় জন্য সমস্ত গনপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত নিলে রাস্তায় গণপরিবহনের আধিক্য থাকলেও লঞ্চ চলাচল তেমন দেখা যায়নি। হঠাৎ সিদ্ধান্তে লঞ্চ মালিকরা লঞ্চ চালাতে অনীহা প্রকাশ করায় তাদের জন্য আরো একদিন সময় বর্ধিত করা হলে আজ সকালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বরিশাল থেকে এডভেঞ্চার 9 কুয়াকাটা 2 ও কীর্তনখোলা২ নামে মাত্র তিনটি লঞ্চ বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে কয়েক হাজার যাত্রী নিয়ে ছেড়ে এসেছে। এছাড়াও পটুয়াখালী থেকে কাজল৭ ও কুয়াকাটা২ নামে দুটি লঞ্চ ও রাজহংস 10 নামে একটি লঞ্চ হিজলা ভাসানচর এবং রেডসান ও আব-এ- জমজম নামে দুটি লঞ্চ ডামুড্ডা,শরীয়তপুর, স্বরূপকাঠি ঘাট থেকে বেশ কিছু যাত্রী নিয়ে সদরঘাটে এসে ভিড়েছে। তবে এতে যাত্রী মোটামুটি থাকলেও সরকার ঘোষিত ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে 60% ভাড়ায় চলাচলের ঘোষণা থাকলেও তা সেখানে মানা হয়নি, স্বাস্থ্যবিধি ও সেখানে ছিল উপেক্ষিত।

পটুয়াখালী ঘাট থেকে গতকাল রাতে কাজল ৭ লঞ্চে করে ঢাকায় ফিরে আসা সাগর আহমেদ জানান, আমি ঢাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, এবং স্থানীয়ভাবে কিছু টিউশনি করে নিজের লেখাপড়ার খরচ বহন করি। ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম, ঈদ শেষে বাচ্চাদের আবার পড়ানোর জন্য গার্ডিয়ানদের চাপের মুখে এভাবে হুড়োহুড়ি করে আবার ঢাকায় ফিরে আসতে হলো। লঞ্চে কোন স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি এবং ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে 60% ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে অনেকের সাথেই এ নিয়ে বাক-বিতণ্ডা হয়েছে। তবে সদরঘাট নেমে বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়েছে কারণ একসাথে অনেক যাত্রী আসায় এবং সড়কে গণপরিবহন কম থাকায় তিনগুণ ভাড়ায় জনপ্রতি 300 টাকা করে পাঁচজন একসাথে সিএনজিতে করে উত্তরায় যাচ্ছি। সরকারের হঠাৎ হঠাৎ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।

ঢাকা নদী বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) জয়নাল আবেদীন জানান, আজ সকাল আটটা পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলা থেকে ৮টি লঞ্চ বেশকিছু যাত্রী নিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করেছে এবং সকাল দশটা পর্যন্ত ১০টি লঞ্চ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে সদরঘাট টার্মিনাল ত্যাগ করেছে। এদের মধ্যে পাঁচটি লঞ্চ যাত্রীশূন্য অবস্থায় তাদের গন্তব্যে রওনা হয়েছে। এছাড়াও চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। তবে সরকারী সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজকে সকাল দশটার পর থেকে আর কোন লঞ্চ ছেড়ে যায়নি।