English Version
আপডেট : ২৮ জুলাই, ২০২১ ১২:৫০

বজ্রপাতে মৃত্যুহার কমাতে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ

অনলাইন ডেস্ক
বজ্রপাতে মৃত্যুহার কমাতে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ

বিগত বছরগুলোতে সারাদেশের গ্রামীণ এলাকার বিস্তৃত জমি, ক্ষেত ও খেলার মাঠ বজ্রপাতের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি প্রাণ হারাচ্ছেন কৃষকরা। সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, বজ্রপাতে নিহতের ১৭৭ জনের মধ্যে ১২২ জনই কৃষক।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে বজ্রপাতে মৃত্যুহার কমাতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার ই-মেইল গতকাল মঙ্গলবার সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। 

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সচিব, পরিকল্পনা সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক বরাবর এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে।মানবাধিকার সংগঠন 'ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন'র পক্ষে দেওয়া এ নোটিশে বলা হয়, বজ্রপাতে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী বিশেষত কৃষক ও জেলে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়।নোটিশপ্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে, না হলে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে জানিয়েছেন নোটিশদাতারা।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, বজ্রপাতে হতাহত এড়াতে পার্শ্ববর্তী দেশ নেপাল ইতিমধ্যে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশেও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বজ্রপাতের ফলে হতাহতের সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব। এছাড়াও বজ্রপাত ও প্রতিরোধ-সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি সহজলভ্য করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে নোটিশে অনুরোধ করা হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে হাওর এলাকা বিশেষ করে সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ ও গাইবান্ধায় দেশের সবচেয়ে বেশি বজ্রপাতপ্রবণ এলাকা। বর্তমানে বজ্রপাতে নিহতের সংখ্যা, অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের (সাইক্লোন, বন্যা, ভূমিধস) নিহতের সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি। 

সরকার যদিও বজ্রপাতকে ২০১৬ সাল থেকে একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে ঘোষণা করেছে। এরপরও বজ্রপাতের ফলে হতাহতের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত গৃহীত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি।