English Version
আপডেট : ১৭ জুলাই, ২০২১ ১৬:১৭

চার ঘর ভাড়া নিয়ে জামাই-শাশুড়ির জুয়ার আসর

অনলাইন ডেস্ক
চার ঘর ভাড়া নিয়ে জামাই-শাশুড়ির জুয়ার আসর

রবিউল হোসেন রবি, (চট্টগ্রাম) থেকে: ফরিদা বেগম (৫০) ও আব্দুর রহিম (৪৫)। সম্পর্কে তারা দুইজন জামাই-শাশুড়ি। চার‍টি ঘর ভাড়ায় নিয়ে একটিতে বসিয়েছেন জুয়ার আসর। বিভিন্ন স্থান থেকে জুয়াড়ি নিয়ে আসার কাজটা মূলত রহিমের। এরপর রাতে বসতো জমজমাট আসর। সেখানে পুলিশ অভিযানে গেলে জুয়াড়িদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে ফরিদা বেগম পুলিশের সাথেই জড়ায় তর্কে। কিন্তু পার পায়নি কেউ। জুয়ার আসরের পরিচালক জামাই-শাশুড়িসহ ১০ জনই ধরা পড়েছে পুলিশের হাতে।

শুক্রবার (১৬ জুলাই) রাত সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানার মোগলটুলি এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় উদ্ধার করা হয় জুয়া খেলার সরঞ্জামাদি ও নগদ দুই হাজার ৭২৫ টাকা। গ্রেফতার আট জুয়াড়িরা হলেন— মোঃ আব্দুল হক বাবুল (৪২), মোঃ মিন্টু হাওলাদার (২৭), মোঃ কবির (৪০), জাফরুল্লাহ (৪৯), জাহাঙ্গীর আলম (৪১),মিজানুর রহমান পারভেজ (৪৫), আনোয়ার হোসেন (৫০) এবং বদিউল আলম (৪৭)।

পুলিশ জানায়, ফরিদা ও আব্দুর রহিম দীর্ঘদিন ধরেই মোগলটুলি এলাকায় জুয়ার আসর চালিয়ে আসছিলেন। মোগলটুলির আহসান উল্লাহ মাতব্বর বাড়িতে ফরিদার চারটি ঘর আছে। তন্মধ্যে তিনটি ঘর ভাড়া দিয়েছেন। আর বাকি ঘরটিতে জুয়ার আসর বসিয়েছেন। জামাই রহিম বিভিন্ন স্থান থেকে জুয়াড়ি নিয়ে আসতেন। মূলত রাতের বেলাতেই এই জুয়ার আসর বসে। কারণ, জামাই- শাশুড়ির এই জুয়ার আসরের জুয়াড়িদের অধিকাংশই নিম্ন আয়ের। সারাদিন কাজ করে রাতের বেলাতেই তারা জুয়ার আসরে বসেন।

ডবলমুরিং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘গতকাল রাত সাড়ে ১২টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ফরিদা বেগম ঘর থেকে বের হয়ে আসেন এবং পুলিশের সাথে বাকবিতণ্ডা শুরু করে জুয়াড়িদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কেউই পালিয়ে যেতে পারেনি। জুয়ার আসর থেকে ৮ জনকে এবং জুয়ার আসরের পরিচালক শাশুড়ি ফরিদা বেগম ও জামাই আব্দুর রহিমকে আটক করা হয়।’

‘ঘটনাস্থল থেকে জুয়ায় ব্যবহৃত দুই হাজার ৭২৫ টাকা এবং ৩ সেট তাস জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় আটককৃত ১০ জনের বিরুদ্ধে জুয়া আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’— যোগ করেন ওসি মহসীন।