English Version
আপডেট : ১৭ জুলাই, ২০২১ ১১:৩৯

শিমুলিয়াঘাটে ঘরমুখো মানুষের ঢল

অনলাইন ডেস্ক
শিমুলিয়াঘাটে ঘরমুখো মানুষের ঢল

ঈদ আনন্দ পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করতে গ্রাম ছুটছে শহর ও কর্মস্থলের মানুষ। দেশের দক্ষিণবঙ্গের ২১জেলার ঘরমুখো মানুষের উপস্থিতিতে আজও মুখরিত মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাট। (১৭ জুলাই) সকাল হতে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় যানবাহনে চড়ে যাত্রীরা ঘাটে উপস্থিত হয়ে ফেরি ও লঞ্চে পদ্মা পারি দিচ্ছে। ফেরিঘাটে যানবাহন আর লঞ্চঘাটে যাত্রীদের উপচেপড়া ঢল। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে চাপ।

বিশেষ করে লঞ্চঘাটে সকাল থেকেই যাত্রীদের গাদাগাদি। লঞ্চে মানা হচ্ছে না নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি। অর্ধেক যাত্রী ধারণের কথা থাকলেও অধিক যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে উপেক্ষিত থাকছে স্বাস্থ্যবিধি সামাজিক দূরত্ব।

অন্যদিকে অন্যদিকে গনপরিবহন ও ব্যাক্তিগত গাড়ির চাপ বাড়ায় ফেরিতে যানবাহন পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে। শিমুলিয়াঘাটের অভিমুখে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েও প্রায় ৭কিলোমিটার এলাকায় পন্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি। ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় অবস্থান করছে ৬ শতাধিক ব্যাক্তিগতগাড়ি ও পন্যবাহী ট্রাক।ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানাগেছে যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে নৌরুটে বর্তমানে ১৩টি ফেরি ও ৮৩টি লঞ্চ সচল রয়েছে।

বিআইডাব্লিউটিএ শিমুলিয়া লঞ্চঘাটের ট্রাফিক কর্মকর্তা মোঃ সোলেমান জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে মানুষেন চাপ রয়েছে। নৌরুটে বর্তমানে ৮৩টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।

এবিষয়ে বিআইডাব্লিউটিস শিমুলিয়াঘাটের সহকারী উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, নৌরুটে বর্তমানে ১৩টি ফেরি সচল রয়েছে। ঘাট এলাকায় পারাপারের জন্য যাত্রী ও পন্যবাহী মিলিয়ে ৫ শতাধিক যানবাহন রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল যানবাহন পারাপার করা হবে।

মাওয়া নৌপুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান, মানুষের উপচেপড়া ঢল, আমরা সাধ্যমত নিয়মমেনে লঞ্চে যাত্রী উঠানোর চেষ্টা করছি।