English Version
আপডেট : ১৫ জুলাই, ২০২১ ১২:৪৭

শিথিল লকডাউনে শর্ত ভেঙে চলছে গণপরিবহন

অনলাইন ডেস্ক
শিথিল লকডাউনে শর্ত ভেঙে চলছে গণপরিবহন

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যেও দুই সপ্তাহ পর কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। বুধবার মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত থাকবে এই শিথিলতা। ফলে বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল করছে। এছাড়া শপিংমল ও দোকানপাট খুলছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার প্রথম দিনে রাস্তায় গণপরিবহন ও মানুষের ব্যাপক ভিড়। ফলে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। শর্ত না মেনেই চলছে গণপরিবহন। বেশিরভাগ গণপরিবহনে স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছে না।

করোনার এই সময়ে ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়ায় আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলাচলের সরকারি নির্দেশনা থাকলেও তা হাতেগোনা কিছু গাড়ি মানলেও, অধিকাংশ গাড়িতেই মানা হচ্ছে না নির্দেশনা। আসন ফাঁকা রেখে গারি চলার অনুমতি দিলেও প্রতিটি আসনেতো যাত্রী আছেই, এমনকি দাঁড়িয়ে গাদাগাদি করে গণপরিবহনে যাত্রী নেয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় গত ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধ। এই বিধিনিষেধ ছিল ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত। পরে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও সাতদিন বাড়িয়ে অর্থাৎ ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত করা হয়। যা এখন শিথিল হলো।

এদিকে ২১ জুলাই দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। তবে ঈদের পর ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত ফের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে।

বিধিনিষেধ শিথিলের পর গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করার শর্ত দিয়েছে সরকার। এক্ষেত্রে যাত্রীকে ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া গুণতে হবে। বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে যাত্রীসহ পরিবহন শ্রমিকদের। রাখতে হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা। লঞ্চের ক্ষেত্রে ডেকের যাত্রীদের মার্কিং অনুযায়ী বসতে হবে। এই আটদিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাভাবিকভাবেই চলবে সরকারি-বেসরকারি অফিস।বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অপর নির্দেশনায় বলা হয়, কোভিড-১৯ সংক্রমণ বিস্তার রোধে এ সময়ে সর্বাবস্থায় মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এ সময়ে পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্রে গমন ও জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান যেমন- বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান (ওয়ালিমা), জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পরিহার করতে হবে।