English Version
আপডেট : ১২ জুলাই, ২০২১ ১৮:০৩

চিকিৎসকের চাঁদার ক্লিনারে পরিষ্কার হয় যে হাসপাতাল

অনলাইন ডেস্ক
চিকিৎসকের চাঁদার ক্লিনারে পরিষ্কার হয় যে হাসপাতাল

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ক্লিনারবিহীন হাসপাতাল। দুই লক্ষাধিক মানুষের ৩১ শয্যার হাসপাতালটি ৪০ বছরের প্রাচীন। হাসপাতালটি জনবল ও যন্ত্রপাতি সংকটে ধুঁকছে। ক্লিনার, অ্যাম্বুলেন্স চালক, ফার্মাসিস্ট ও স্টোর কিপার ছাড়াই হাসপাতালটি চলছে। নেই এক্স-রে মেশিন, ডেন্টাল চেয়ার। এদিকে বাইরে থেকে অস্থায়ী তিনজন লোককে চিকিৎসকরা চাঁদা দিয়ে পরিচ্ছন্নতার কাজ করান।

সূত্র জানায়, ৩১ শয্যার হাসপাতালে দ্বিগুণ রোগী থাকে প্রায় সময়। আউট ডোরে প্রতিদিন চিকিৎসা নেন দুই শতাধিক রোগী। এতো রোগীর মাঝে যেখানে জনবল বাড়ানো প্রয়োজন সেখানে ১২জন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার মধ্যে মেডিসিনের একজন কনসালটেন্টের পদ শূন্য রয়েছে। ২য় শ্রেণির ২৪ জনের মধ্যে সাতজনের পদ শূন্য। ৩য় শ্রেণির ১০জনের মধ্যে সাতজনের পদ শূন্য। ৪র্থ শ্রেণির ২৪জনের মধ্যে ১৬জনের পদ শূন্য। এদিকে করোনা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ১৫জনের আইসোলেশন বেড রয়েছে। সেখানে রোগীদের অক্সিজেন দেয়া ছাড়া তেমন কোন সেবার সুযোগ নেই।

ব্রাহ্মণপাড়া সদরের বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, এই হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন, ডেন্টাল চেয়ার ও আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন নেই। যন্ত্রপাতির সংকট দূরের দাবি জানাচ্ছি। দুই লক্ষাধিক মানুষের আবাস এই উপজেলায় ৩১ শয্যার হাসপাতাল পর্যাপ্ত নয়। এই হাসপাতালের বেড ও জনবল বাড়ানো প্রয়োজন। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসনাত মো. মহিউদ্দিন মুবিন জানান, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী সংকট প্রকট। বিশেষ করে কোন ক্লিনার নেই। অস্থায়ী তিনজন লোককে মাসে দুই হাজার টাকা ও প্রতিদিন দুই বেলা খাবার দিয়ে পরিচ্ছন্নতার কাজ চালিয়ে নিচ্ছি। চিকিৎসকরা চাঁদা করে তাদের সম্মানী দেন। আমরা সীমিত জনবল দিয়ে সেবা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে জনবল সংকট কেটে যাবে বলে আমাদের জানানো হয়েছে। 

তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন এসেছে। অ্যাম্বুলেন্সের চালক নেই দীর্ঘদিন। এখানে ৩১ শয্যা পর্যাপ্ত নয়, শয্যা সংখ্যা ৫০এ উন্নীত করার জন্য আবেদন জানিয়েছি।