English Version
আপডেট : ১১ জুলাই, ২০২১ ১২:৫৬

সর্বাত্মক লকডাউন: বাইরের চিত্র দেখে বোঝার উপায় নেই

অনলাইন ডেস্ক
সর্বাত্মক লকডাউন: বাইরের চিত্র দেখে বোঝার উপায় নেই

করোনাভাইরাসের উর্ধ্বগতি না কমায় দেশ জুড়ে সর্বাত্মক লকডাউন চলছে। লকডাউনের দিন যতই পার হচ্ছে সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মানুষের চাপ ততই বাড়ছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টাফবাস তো চলছেই। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের যে সকল স্টাফবাস চলছে তাতেও স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই নেই।

রবিবার (১১ জুলাই) রাজধানীর রায়ের বাগ, শনিরআখড়া, কাজলা, যাত্রাবাড়ী, ধোলাই পার, পোস্তগোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

মূল সড়কের পুলিশ চেকপোস্টে কড়াকড়ি থাকলেও ভিন্ন চিত্র রয়েছে অলিগলিতে। দেশ জুড়ে সর্বাত্মক লকডাউন চলছে তা রাজধানীর অলিগলি চিত্র দেখে বুঝার উপায় নেই। হরহামেশাই রয়েছে মানুষের চলাচল। মানুষের মাঝে তেমন কোনো সচেতনতা দেখা যায় নি। স্বাস্থ্য বিধির কোনো বালাই নেই।

এছাড়া অলিগলির মধ্যে প্রায় সকল ধরনের দোকান খোলা দেখা যায়। খোলা রয়েছে চায়ের দোকানও। এসময় দেখা যায় চায়ের দোকানে জটলা বাধা মানুষের আড্ডা।

একাধিক ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, লকডাউনের প্রথম কয়েকদিন ব্যক্তিগত গাড়ি ও মানুষের চলাচল কম থাকলেও লকডাউনের দিন যত বাড়ছে মানুষ এবং ব্যক্তিগত গাড়ি ততই বাড়ছে। বিভিন্ন অজুহাতে বাইরে বের হচ্ছে মানুষ।

বিভিন্ন স্থানে পুলিশের চেকপোস্টে দেখা গেছে কড়াকড়ি। গাড়ি থামিয়ে বাইরে বের হওয়া কারণ জিজ্ঞেস করছেন। অনেক গাড়ি আটকে রাখছেন, আবার অকারণে বের হওয়ার জন্য মামলা দিচ্ছেন।

দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তা আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। কঠোর লকডাউন সফল করতে দূরপাল্লার পরিবহনসহ সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। এ সময়ে জরুরি সেবা দেয়া দফতর-সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসররকারি অফিস, যন্ত্রচালিত যানবাহন, শপিংমল দোকানপাট বন্ধ থাকবে। খোলা থাকবে শিল্প-কারখানা। জনসমাবেশ হয় এমন কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না।