English Version
আপডেট : ১০ জুলাই, ২০২১ ১৩:০৫

এক এক করে একদিনে তিন ভাইয়ের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক
এক এক করে একদিনে তিন ভাইয়ের মৃত্যু

নাটোরে একদিনে তিন ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুই ভাই এবং মৃত্যুর খবর পেয়ে হার্ট অ্যাটাকে আরও এক ভাই মারা গেছেন।

শুক্রবার (৯ জুলাই) ভোরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শরিফুল ইসলাম ওরফে পচুর মৃত্যু হয়।

সম্পর্কিত খবরভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে সকালে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান বড় ভাই বাবলু ইসলাম। এছাড়া সন্ধ্যায় রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলমেরও মৃত্যু হয়।

মৃত ব্যক্তিরা হলেন নাটোর শহরের ইসলামিয়া হোটেলের (পচুর হোটেল) স্বত্বাধিকারী শরিফুল ইসলাম ওরফে পচু (৬৫), তার বড় ভাই বাবলু ইসলাম (৭০) ও ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলম (৪৬)। তিন ভাই নাটোর শহরের ভবানীগঞ্জ মহল্লার মৃত আবদুর রশিদের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, শরিফুল ইসলাম ওরফে পচু গত রোববার (৪ জুলাই) করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। তাকে সেবা করার জন্য হাসপাতালে থাকা ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলমও করোনায় সংক্রমিত হয়ে বুধবার (৭ জুলাই) একই হাসপাতালে ভর্তি হন।

পরে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে শরিফুল ইসলামকেও আইসিইউতে নেওয়া হয়। শুক্রবার ভোরে মেজো ভাই শরিফুল ইসলাম মারা যান। অপরদিকে ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শোনার পর সকালে বড় ভাই বাবলু হার্ট অ্যাটাকে মারা যান।

জুমার নামাজের পর শহরের ভবানীগঞ্জের কবরস্থানে দুই ভাইয়ের দাফন অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলমেরও মৃত্যু হয়।

ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম জানান, শহরের চকরামপুর এলাকায় গীতি সিনেমা হলের পাশে প্রায় ৪ দশক আগে পচুর হোটেল নামে ক্ষুদ্র পরিসরে খাবার হোটেল চালু করেন শরিফুল ইসলাম। তার সততা, দক্ষতা ও ভালো রান্নার গুণে পচুর হোটেলের সুনাম দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। নাটোরে এসে দেশীয় খাবার খাওয়ার প্রয়োজন পড়লে অধিকাংশ মানুষ তার হোটেলে খাবার খান।

শরিফুল ইসলামের ছেলে ও পচুর হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিটন বলেন, তার বাবা পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়মিত খোঁজখবর নিতেন। যেকোনো প্রয়োজনে সহযোগিতার হাত বাড়াতেন। এ কারণে তার মৃত্যুর খবর শুনে মেজো ভাই সহ্য করতে পারেননি।

আরো পড়ুন: ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে বড় ভাইয়ের মৃত্যু, আরেক ভাই আইসিইউতে

তিনি আরো বলেন, হার্ট অ্যাটাকে তিনি তাৎক্ষণিক মারা যান। এক এক করে এক দিনে আমরা তিন আপনজন হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। তবে আমি বাবার নিজ হাতে গড়ে তোলা স্বনামধন্য পচুর হোটেলটি চালু রাখব।