English Version
আপডেট : ১০ জুলাই, ২০২১ ১০:২৩

দেশ ছেড়ে পালাবো না: সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান

অনলাইন ডেস্ক
দেশ ছেড়ে পালাবো না: সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান

অগ্নিকাণ্ডে অধর্শতাধিক শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনাকে বড় দুর্ঘটনা আখ্যা দিয়ে সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হাসেম বলেছেন, যারা মারা গেছে তারা সবাই আমাদের সহকর্মী। আমরা মালিক-শ্রমিক এক পরিবার। শ্রমিক ছাড়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চলে না। শ্রমিকরাই প্রতিষ্ঠানের প্রাণ। কাজেই আমরা হতাহত সব শ্রমিকের পরিবারকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেবো। নিহত ও আহত শ্রমিকদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেবো। কোনো পরিবারকে বঞ্চিত করবো না।

এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর গুঞ্জন ওঠে সজীব গ্রুপের মালিক দেশ ছেড়ে যেতে পারেন- এ বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেছেন, আমার শেষ জীবনে বড় একটি ধাক্কা। এই ধাক্কা সামাল দেওয়া কঠিন। তবু, আমি সর্বোচ্চ দিয়ে হতাহত পরিবারগুলোর পাশে থাকার চেষ্টা করবো। চেষ্টা করবো ঘুরে দাঁড়াতে, এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দেশ ছেড়ে পালাবো না। শুক্রবার গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার বিকালে রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কারখানার ছয় তলা ভবনটিতে তখন প্রায় চারশ’র বেশি কর্মী কাজ করছিলেন। কারখানায় প্লাস্টিক, কাগজসহ মোড়কিকরণের প্রচুর সরঞ্জাম থাকায় আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সব ফ্লোরে।

প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আবুল হাসেম বলেন, যে কারখানায় দুর্ঘটনা ঘটেছে সেটির ইনস্যুরেন্স করা আছে। ভয়ের কারণ নেই। ইনস্যুরেন্সের টাকায় কারখানা দাঁড় করানো যাবে না ঠিক, তবে পরিশ্রম করে আমাদের দাঁড় করাতে হবে।

মোহাম্মদ আবুল হাসেম, ‘দুর্ঘটনায় কারও হাত নেই। আমাদের অনেকগুলো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। কোনওটিতে এর আগে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। হতাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমি সমবেদনা জানাই। একই সঙ্গে এই কঠিন বিপদে তাদের ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানাই।’

তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর আমাদের প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। যাবতীয় চিকিৎসা খরচ প্রতিষ্ঠান থেকে দেওয়ার কথা বলেছি। আগে যেমন এসব শ্রমিকদের পাশে ছিলাম, সামনের দিনগুলোতেও থাকবো। সব ধরনের সহযোগিতা করবো। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সদস্যদের কারখানায় চাকরির ব্যবস্থা করবো। আশা করছি, আমরা এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবো।

মোহাম্মদ আবুল হাসেম আরও বলেন, ‘আমাদের সবগুলো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বৈধ উপায়ে করা। শ্রমিকরা পরিশ্রম করে এসব প্রতিষ্ঠান দাঁড় করিয়েছেন। অনেকেই ভাবছেন, আমি এই কঠিন বিপদে তাদের একা রেখে বিদেশে পালিয়ে যাবো, প্রশ্নই আসে না। এতগুলো প্রতিষ্ঠান ফেলে পালানো যায় না। জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে এমন বিপদে পড়লাম। এই বিপদ কাটিয়ে উঠতে সবার সহযোগিতা চাই।’