English Version
আপডেট : ৮ জুলাই, ২০২১ ১৬:৪৭

পদ্মায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসবে মেতেছে ব্যবসায়ীরা

অনলাইন ডেস্ক
পদ্মায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসবে মেতেছে ব্যবসায়ীরা

পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন। রাস্তায় ফাঁটল ধরায় ভাঙ্গন আতংকে রয়েছে এলাকাবাসী। আর এ বালু উত্তোলন ব্যবসার সাথে একটি প্রভাবশালী শক্তিশালী সিন্ডিকেট চক্র জরিত থাকায় এলাকার কেউ তাদের বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খুলতে  সাহস পাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের মান্দা এলাকায় পদ্মার পাড়ে নদীর পাড় ঘেষে অবৈধভাবে বাল্কহেড ব্যবহার করে ড্রেজার দিয়ে চলছে বালু উত্তোলন। আর বাল্কহেড থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের  সময় নদীতে ড্রেজারের পাইপ ব্যবহার করে পানির সাহায্যে বালু আনলোড করা হচ্ছে।  যার ফলে নদীর পাড়ের বালু সরে গিয়ে ভাঙনের সৃষ্টি হয়।

এরই মধ্যে পদ্মা নদী নিকটবর্তী মান্দ্রা পাকা রাস্তার নিচ শুড়ঙ্গ করে  ড্রেজারের পাইপ নেওয়ার কারনে এরই মধ্যে ওই রাস্তায় বড় ধরনের ফাঁটল দেখা দিয়েছে। ফলে মান্দ্রার পাকা ওই রাস্তাটিও হুমকীর মুখে পরেছে। এভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন চলতে থাকলে মাদ্রা রাস্তা বড় ধরনের ভাঙ্গনের পাশাপাশি নদী পাড়ে বসবাসরত শতশত ঘরবাড়ি ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলিন হওয়ার আশংঙ্কা করছে স্থানীয়রা।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানায় , স্থানীয় প্রভাবশালী মামুন ও ,আলী বেপারীসহ বেশ কয়েক জনের একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেটচক্র দীর্ঘ প্রায় ৫/৬ বছর ধরে পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে জমজমাট ব্যবসা চালিয়ে গেলেও রহস্যজনক কারনে স্থানীয় প্রশাসন নিরব ভুমিকা পালন করছে। অন্যদিকে ঢাকা-১ আসনের সাংসদ ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ.রহমান দোহার উপজেলাকে পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা করতে শত কোটি টাকার বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প  হাতে নিয়েছে।

তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সেই প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছে।  এরই ফলশ্রুতিতে দোহার উপজেলায় ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ নিষেধ। পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে পর্যায় ক্রমে শ্রীনগর উপজেলায় পদ্মা নদী পাড় ঘেষে বাঁধ নির্মাণের প্রকল্পও হাতে নিবেন এমনটাই আশা এলাকা বাসী। একাধিক স্থানীয় এলাকাবাসী ভয়ে বার বার তাদের নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, রাত দিন বোল্কহেডের শব্দে আমরা দিশেহারা। তাদের ভয়ে আমরা কেউ কথা বলতে সাহস পাইনা। তারা এতই শক্তি শালী যে, আমরা কেউ তাদের বিষয়ে কথা বলতে সাহশ পাইনা। আমাদের জীবনেরও হুমকী রয়েছে।

প্রশাসকের অনুমতি পত্র বা প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র আছে কিনা  ড্রেজার ব্যবসায়ী মামুন সর্দারের কাছে জানতে চাইলে, তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেননি। রাস্তা ফাঁটল বিষয়ে তিনি বলেন, রাস্তার তেমন কোন ক্ষতি হবেনা। আমি রাস্তাটি মেরামত করে দিয়েছি। তাছারা আমার ড্রেজারটি ছোট, পাশের ড্রেজারটি বড়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণব ঘোষের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যপারে আমার জানানেই খোজ নিয়ে দেখছি। জেলা বা উপজেলা প্রশাসন থেকে ইজারা না নিয়ে এভাবে বালু উত্তোলন করে জমজমাট ব্যবসা চালানোর কারনে সরকার লাক্ষ লাক্ষ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে এলাকাবাসী জনায়।