English Version
আপডেট : ৫ জুলাই, ২০২১ ১৭:১২

লকডাউনের ছোঁয়া লাগেনি পাংশার গ্রামীণ হাটবাজারে

অনলাইন ডেস্ক
লকডাউনের ছোঁয়া লাগেনি পাংশার গ্রামীণ হাটবাজারে

করোনা সংক্রামন দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাংশা উপজেলা শহর থেকে গ্রামের চিত্র নেহাত কম নয় আক্রান্তের সংখ্যায়। সেই তুলনায় রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার গ্রাম গুলোর বাজারের দৃশ্য যেন একে বারেই ভিন্ন। যেন লকডাউনের ছোঁয়ায় লাগেনি। কঠোর বিধিনিষেধ চলছে এরই মধ্যে আজ পূনরায় এ লকডাউনের সময়সীমা বৃদ্ধি করেছে সরকার। আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্তু চলবে এই লকডাউন। সারাদেশে কঠোর লকডাউন চললেও এর ছিটেফোঁটার ছোঁয়া লাগেনি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার গ্রমীণ হাটবাজার গুলোতে। এসব বাজারে সকাল বেলা তেমন লোক সমাগম না হলেও দুপুর গড়িয়ে বিকাল হতে না হতেই প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে জড়ো হতে থাকে হাজারো মানুষ। কেউ কেউ সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় করতে আসলেও অনেকে আসেন চা-পান করতে আড্ডা দিতে। উপজেলার প্রায় সকল গ্রামীণ হাটবাজারের চিত্র একই।

পাংশা উপজেলার শরিসা ইউনিয়নের বৃত্তিডাঙ্গা বাজার, শরিসা বাজার, কলিমহর ইউনিয়নের হাটবনগ্রাম বাজার, হোসেনডাঙ্গা বাজার, পাট্টা ইউনিয়নের বাহের মোড় বাজার, মৌরাট ইউনিয়নের বাগদুলী বাজার, যশাই ইউনিয়নের যশাই বাজার, বাহাদুরপুর ইউনিয়নের সেনগ্রাম বাজার, বাহাদুরপুর বাজার, হাবাসপুর ইউনিয়নের চরঝিকড়ী বাজার, হাবাসপুর বাজারসহ সকল বাজারের দৃশ্যই প্রায় একই। এই সব হাট বাজাররে ক্রেতা বিক্রেতা কারোর মাঝে স্বাস্থ্য বিধির বালাই নাই। লোকজন গাদাগাদি করে কেনাকাটা সহ চা’য়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছে। অনেকের মুখে মাস্ক পর্যন্ত নেই।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন আমরা আমাদের এ বাজার এলাকাতে তেমন কোন প্রশাসনের নজরদারী দেখতে পায়নি। সোমবার (৫ জুলাই) সকালে উপজেলার বৃত্তিডাঙ্গা বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায় অনেক ক্রেতা বিক্রেতার মুখে নেই মাস্ক, একে অপরের গায়ের সাথে লেগে চলাচল করছে মানুষ, নেই শারীরিক দুরত্ব। অপর এক ব্যবসায়ী বলেন কোন ম্যাজিস্টেটকে আমরা আসতে দেখিনি, তবে মাঝে মধ্যে পুলিশ আসে, পুলিশ আসলে লোকজন দৌঁড়ে পালায়, আবার পুলিশ চলে গেলে বাজরে ভীর জমায়।

এদিকে পাংশা উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় গ্রামের সাপ্তাহিক বাজার যাতে না বসানো হয় সে ব্যাপারে কঠিন হুশিয়ারী দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে নিষেধ কোথাও মানা হচ্ছে না। অপর দিকে প্রতিদিনই পাংশা শহর এলাকায় পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ আলী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুজহাত তাসনীম আওন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা, পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ মাসুদুর রহমান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যারা বের হচ্ছেন তাদের গুনতে হচ্ছে জড়িমানা। পাংশা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তরুন কুমার পাল জানান- আগের তুলনায় গ্রামের মানুষের মধ্যেই করোনা রোগীর বেশী লক্ষন দেখা যাচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।