English Version
আপডেট : ৪ জুলাই, ২০২১ ১৭:০৫

৭০ বছরের রেকর্ড ভাঙলো মোংলা বন্দর

অনলাইন ডেস্ক
৭০ বছরের রেকর্ড ভাঙলো মোংলা বন্দর

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মোংলা বাণিজ্যিক জাহাজ আগমনের নতুন রেকর্ড গড়েছে। ৭০ বছরের রেকর্ড ভেঙে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৯৭০টি বাণিজ্যিক জাহাজ এ বন্দরে নোঙর করেছে। এ সময়ে বন্দরে ১৪ হাজার ৪৪৭টি গাড়ি অবতরণ এবং ৪৩ হাজার ৯৫৯টি ব্যবহৃত কন্টেইনার জাহাজে খালাস ও বোঝাই হয়। এ অর্থ বছরে আয় হয়েছে ৩৪০ কোটি টাকা, ব্যয় হয়েছে ২১০ কোটি টাকা। বিদায়ী অর্থবছরে ১১৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ পণ্য খালাস করে বন্দরটি নিট মুনাফা আয় করে ১৩০ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৯ কোটি টাকা বেশি।

রোববার (৪ জুলাই) সকাল ১০টায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য তুলে ধরেন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা। ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, আগামী অর্থ বছরে ৩৬০ কোটি টাকা আয়, জাহাজ আগমন ১ হাজারেরও বেশি ও নীট মুনাফা ১৫০ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে এ বন্দরে রিকন্ডিশন গাড়ী এসেছে ১৪ হাজার ৪৪৭টি।

সম্পর্কিত খবরমোংলা বন্দরে পৌঁছেছে মেট্রোরেলের দ্বিতীয় চালানমৃত মোংলা বন্দরকে জীবিত করেছেন শেখ হাসিনা: নৌ-প্রতিমন্ত্রী৭শ ৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মোংলা বন্দরে ইনারবার ড্রেজিং শুরু হচ্ছেমোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৮ অর্থ বছর পর্যন্ত এ বন্দর নানামুখী প্রতিকূলতার কারণে লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল। বিগত ২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ৭টি জাহাজ ও পূর্ণ অর্থ বছরে মোট ৯৫টি জাহাজ আগমন করেছিল। ২০০৪-২০০৫ অর্থ বছরে বন্দর ১১ কোটি টাকা লোকসান করে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে মোংলা বন্দরের উন্নয়নে সরকার অগ্রাধিকার ও বিশেষ গুরুত্ব দেন। শুরু হয় উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের কাজ। তাই ক্রমান্বয়ে মোংলা বন্দর গতিশীল হয়ে উঠায় প্রতি বছর বিদেশী জাহাজের আগমনে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

পদ্মাসেতু, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, খানজাহান আলী বিমান বন্দর, রেললাইন ও পশুর চ্যানেলের ইনার বারের খননসহ চলমান বন্দরের মেগা প্রজেক্টগুলো বাস্তবায়ন হলে এ বন্দরের কর্মচাঞ্চল্যতা আরো অনেকাংশে বেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যেই আউটার বারের খনন কাজ সম্পন্ন হয়েছে, যার ফলে বড় বড় জাহাজ সরাসরি চ্যানেলে অবস্থান ও জেটিতে ভিড়তে পারছে। ফলে দেশি-বিদেশি আমদানি-রপ্তানি কারকেরা এ বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন এম আবদুল ওয়াদুদ তরফদার, পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ শাহিনুর আলম, হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন, প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, পরিকল্পনা প্রধান মো: জহিরুল হক, পরিচালক (ট্রাফিক) মো: মোস্তফা কামাল, প্রধান প্রকৌশলী (সিভিল ও হাইড্রোলিক) মো: শওকত আলী, উপ-প্রধান প্রকৌশলী মোঃ মাহাবুবুর রহমান মিনা ও বন্দর চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব মোঃ নিয়ামুর রহমানসহ স্থানীয় প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালে বিট্রিশ বাণিজ্যিক জাহাজ দ্যা সিটি অব লায়ন্স জাহাজ সর্ব প্রথম সুন্দরবনের পশুর নদীর জয়মনিরগোল এলাকায় নোঙ্গর করে। এটাই ছিল মোংলা বন্দর প্রতিষ্ঠার সূচনা।