English Version
আপডেট : ৪ জুলাই, ২০২১ ১৫:৫৫

পটুয়াখালীতে কঠোর বিধিনিষেধ, ব্যবসায়ীদের মানবেতর জীবনযাপন

অনলাইন ডেস্ক
পটুয়াখালীতে কঠোর বিধিনিষেধ, ব্যবসায়ীদের মানবেতর জীবনযাপন

স্বপ্নীল দাস,পটুয়াখালী থেকে: মহামারী করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে গত বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে সারা দেশে চলছে কঠোর লকডাউন। গত (১ জুলাই) বৃহস্পতিবার থেকে এই লকডাউন জারি করেছে সরকার।জরুরী প্রয়োজন ব্যাতীত রাস্তায় চলাচল করলেই জরিমানা।

এ অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে পটুয়াখালীর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।কেউ কেউ কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে দোকানের দরজা আংশিক খোলা রেখে বসে থাকে তীর্থের কাকের মতো। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেলেই দোকান বন্ধ করে ফেলে।দোকান খোলা পেলে এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের গুনতে হয় জরিমানা।

পটুয়াখালী সরকারি কলেজ রোডের এক চায়ের দোকানদারের সাথে কথা বলতে গেলে দোকানদার বলেন,’কি করবো ভাই?পেটে ভাত নাই।পুলিশ প্রশাসনের চোখের আড়ালে দোকান খুলি।১০০/২০০ টাকা বেচা কিনা হয়।তা দিয়েই কোনরকম চলি।’

পটুয়াখালীর লঞ্চঘাট মাছ পট্টি এলাকায় কিছু ভ্রাম্যমান চায়ের দোকান লক্ষ্য করা যায় এই কঠোর লকডাউনেও। কেউ কেউ চায়ের ফ্লাক্স আর কাপড়ের ব্যাগের মধ্যে সিগারেট,বিস্কুট,চানাচুর সহ মুখে একরাশ কালো মেঘের ছাপ নিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন।দু-একজন হয়তো সিগারেট কিনতে আসেন, আবার কোন কোন সময় কেউ আসেন না।প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেলেই তারা দৌড়ে পালান।

লঞ্চ ঘাট সংলগ্ন মাছ পট্টি এলাকার এক চা বিক্রেতা আবুল তালুকদার বলেন, ‘দিন আনি দিন খাই আমরা।আমরা বুঝি করোনা মহামারী অনেক ভয়ংকর,সরকারের লকডাউন মেনে চলা উচিৎ।তবুও পেটের তাগিদে আমরা অসহায়।ঘরে বাজার নাই।স্ত্রী,আর দুই সন্তানরে নিয়া খুবই কষ্টে দিন কাটতে আছে।’

লকডাউনের কথা বলতেই এই সকল দিন এনে দিন খাওয়া মানুষের চোখে–মুখে ফুটে ওঠে অসহায়ত্ব আর হতাশা।