English Version
আপডেট : ১ জুলাই, ২০২১ ১৫:১১

মানিকগঞ্জে জরুরী সেবা ছাড়া বের হচ্ছে না কেউ

নিজস্ব প্রতিবেদক
মানিকগঞ্জে জরুরী সেবা ছাড়া বের হচ্ছে না কেউ

করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে সাত দিনের ‘কঠোর’ বিধিনিষেধের প্রথম দিন মানিকগঞ্জে কঠোর ভাবে পালন করা হচ্ছে। জেলা শহর, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, পাটুরিয়া ফেরি ঘাটের বিভিন্ন পয়েন্ট কাজ করছে পুলিশ। কঠোর বিধি নিষেধ পালনে তাদেরকে তৎপর দেখা গেছে। এছাড়াও র‌্যাব টহলের পাশাপাশি মাঠে আছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একাধিক টিম। এর ফলে শহর এবং গ্রামে লোকজনের উপস্থিতি দেখা যায়নি। বের হলেও জরুরী সেবা ব্যতীত কাউকেই বাহিরে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। বিগত সময়ের চেয়ে এই বিধিনিষেধ কার্যকর হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই।

সরেজমিন দেখা গেছে, ঔষধ, খাবার হোটেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু দোকান ছাড়া সকল দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। শহরের রাস্তায় কিছু পায়ে চালিত রিকশা চলতে দেখা গেছে। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে রয়েছে পুলিশি চেকপোস্ট। জরুরী কারণ ছাড়া কাউকে তেমন বের হতে দেখা যায়নি। এছাড়াও স্বাস্থ বিধি মেনে উন্মুক্ত স্থানে বসানো হয়েছে বাজার।

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে জরুরী পণ্যবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স চলতে দেখা গেছে। জেলার প্রবেশদ্বার বারবাড়িয়া, মহাসড়কের গোলড়া, মুলজান, বানিয়াজুরি, বরঙ্গাইল, আরিচা-পাটুরিয়া মোড় সিংগাইরের ধল্লা এলাকায় চেকপোষ্ট রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে পুলিশের চার শতাধিক সদস্য মাঠে কাজ করছে। কঠোর বিধি নিষেধ পালনে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। পৌর এলাকাসহ জেলার অভ্যন্তরীণ সড়ক গুলোর প্রবেশপথ বাঁশ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। এ সময় তিনি কঠোর বিধি নিষেধ পালনে জনসধারণের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ জানান, সরকার ঘোষিত কঠোর বিধি নিষেধ পালনে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ১৪ টি মোবাইল টিম কাজ করছেন। জরুরী কাজের বাইরে কাউকে ঘোরাফেরা করতে দেখলে এবং স্বাস্থ্য বিধি না মানলে তাদেরকে ভ্রাম্যমান আদালতে সাজা দেওয়া হবে। তিনি জনগনকে এই সময়ে জরুরী কাজ ব্যতিত ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ করেন।

এদিকে, পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকাও রয়েছে জনশূণ্য। ঘাট এলাকায় কিছু পণ্যবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো: জিল্লুর রহমান।