English Version
আপডেট : ১ জুলাই, ২০২১ ১৫:০৫

গাজীপুরে কঠোর লকডাউন, মাঠে ৩ প্লাটুন সেনা সদস্য

অনলাইন ডেস্ক
গাজীপুরে কঠোর লকডাউন, মাঠে ৩ প্লাটুন সেনা সদস্য

করোনা ভাইরাস (কেভিড-১৯) সংক্রামণ রোধে আজ থেকে (১লা জুলাই) পরবর্তী ৭দিন কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় গাজীপুরে চলছে কঠোর লকডাউন।

আজ ( ১ জুলাই ) সকাল থেকেই জনবহুল ও শিল্প অধ্যুশিত গাজীপুরের ঢাকা-টঙ্গাঈল ও ঢাকা ময়মনসিংহ সহাসড়কে কড়াকড়ি অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তবে নগরের বাইরে একটু ঢিলে ঢালা পরিস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

গাজীপুরে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য বিভিন পয়েন্টে ৩২ টি পুলিশ চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। এর মধ্যে গাজীপুর মেট্টোপলিটন এলাকায় রয়েছে ৯টি ।

গাজীপুর জেলাপ্রশাসনের পক্ষে থেকে ২৬ জন নির্বাহি ম্যাজিষ্টেটের সমন্বয়ে ২২ মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে।এছাড়াও বাংলাদেশ সেবাবাহিনীর ৩টি প্লাটুন, বিজিবির ২টি প্লাটুন, র‌্যাব, গাজীপুর মেট্টেপলিটন পুলিশ, জেলা পুলিশ, আনসার বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে সকাল ৬ টা থেকে ৩২ টি চেকপয়েন্টে অকস্থান নিয়ে তারা কাজ করছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক তরিকুল ইসলাম।

গাজীপুর জেলাপ্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উম্মে হাবিবা ফারজানা বলেন, ” গাজীপুর একটি শিল্প অধ্যুসিত এলাকা। এখানে অনেক শ্রমিক আছে তাদেরকে সচেতন করাটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। ৩০ শে জুন মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে যে প্রঞ্জাপন জারি হয়েছে আমরা চেষ্ঠা করছি সেটা সম্পূর্ণভাবে প্রতিপালন করার। বাইরে থেকে যেসব গাড়ি আসছে , যেগুলো জরুলি সেবার আওতাভ‚ক্ত না বা যাত্রাবাহী গাড়ি আমরা সেগুলো ফিরিেিয় দিচ্ছি। ক্ষেত্রবিশেষে মোবাইল পরিচালনা করছি। যাদের মুখে মাক্স নেই তাদের সচেতনার পাশাপাশি প্রয়োজনে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করছি। আমরা জেলা প্রশাসনের ১৮ টি টিম কাজ করছি। সঙ্গে আছে পুলিশ বাহিনী, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, শসস্ত্রবাহিনীর সদস্য। আমার যাতে কোভিড-১৯ মহামারির শোচনীয় অবস্থায় যেন না পৌছায় সে লক্ষ্যেই কাজ করছি।

গাজীপুর মেট্টেপুলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার জাকির হাসান জানান, গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিমের পক্ষ থেকে নগরের ভিতরে প্রবেশ ও বাহিরে বের হওয়ার জন্য ৯ টি পয়েন্টে পুলিম চেকপোষ্ট রয়েছে। সরকার নির্ধারিত যেসব যানবাহন চলার অনুমতি আছে শুধুমাত্র সেসব গাড়ি ব্যবতীত আমরা কোন গাড়ি প্রবেশ এবং বাহিরে যেতে দিচ্ছ না। এগুলো আমরা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছি। এছাড়াও প্রতিটি থানায় দুই বা দুইয়ের অধিক মোবাইল কোর্টের টিম টহল দিয়ে যাচ্ছে। আমরা সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ি কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট তামান্না রহমান জুথি জানিয়েছেন, যারা আইন ভঙ্গ করছে আমরা তাদের মামলা এবং অর্থদন্ড দিচ্ছি তবে এখন পর্যন্ত কাউকে কারাদন্ড দেওয়া হয়নি।