English Version
আপডেট : ১ জুলাই, ২০২১ ১৩:৪২

লকডাউনের প্রথমদিনে যাত্রী শূন্য শিমুলিয়া ঘাট

অনলাইন ডেস্ক
লকডাউনের প্রথমদিনে যাত্রী শূন্য শিমুলিয়া ঘাট

মুন্সিগঞ্জে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে তিন প্লাটুন সেনাবাহিনী ও দুই প্লাটুন বিজিবিসহ জেলা পুলিশ ও প্রশাসন থেকে কড়াকড়ি অবস্থান নেওয়া হয়েছে। জেলার লৌহজং শিমুলিয়া ঘাটের অভিমুখে দুইটি চেকপোস্টে কাজ করছে পুলিশ ও বিজিবি। 

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘাটে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এতে লকডাউনের প্রথমদিনে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল থেকে একদম যাত্রী শূন্য অবস্থায় রয়েছে শিমুলিয়াঘাট। তবে পণ্যবাহী গাড়ি পারাপারে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।  শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে বর্তমানে ১৫টি ফেরি সচল রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইডাব্লিউটিসি সূত্র।

বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাট সুপারভাইজার শাহাবুদ্দিন আহমেদ জানান, সকাল থেকে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। এসব ফেরি দিয়ে শুধুমাত্র পণ্যবাহী ট্রাক, জরুরি ও অ্যাম্বুলেন্স পার করা হচ্ছে।  যাত্রীদের উপস্থিতি নেই ঘাটে। ঘাট এলাকা বর্তমানে একবারে ফাঁকা। ঘাটে থাকা যানবাহন পারাপারের পর ফেরির সংখ্যা সীমিত করার পরিকল্পনা চলছে।মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ জাকির হোসেন জানান, সর্বাত্মক লকডাউনের নির্দেশনা মানার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। শিমুলিয়ামুখি গাড়ি রোধ করা হচ্ছে। তবে মহাসড়কে ঘাটমুখি যানবাহন এবং যাত্রী নেই বললেই চলে।

এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল জানান, লকডাউন বাস্তবায়নে জেলায় তিন প্লাটুন সেনাবাহিনী, দুই প্লাটুন বিজিবি এবং র‍্যাবের কুইক রেসপন্স টিম কাজ করছে। প্রবেশ পথগুলোতে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া আনসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অন্তর্ভুক্ত করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গ্রাম পর্যায় লকডাউন বাস্তবায়ন করবে। 

তিনি আরও বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মসজিদ ভিত্তিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। রোভারদের  বাজার মনিটরিং কাজে লাগানো যায় কিনা সেই চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সিরাজদিখানে নিমতলি এবং শিমুলিয়া ফেরিঘাটে এলাকায় ইতিমধ্যে বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।