English Version
আপডেট : ১ জুলাই, ২০২১ ১১:১৭

শেষ রক্ষা হলো না মগবাজারে দগ্ধ ভ্যানচালকের

অনলাইন ডেস্ক
শেষ রক্ষা হলো না মগবাজারে দগ্ধ ভ্যানচালকের

রাজধানীর মগবাজারে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণের ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নুরুন্নবী (৩০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল দশের ঘরে। আজ বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন মারা যান তিনি।

ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন পার্থ শংকর পাল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নুরুন্নবীর শরীরে ৯০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।

জানা গেছে, নুরুন্নবী পেশায় একজন ভ্যানচালক। তার গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ী জেলায়। তার স্ত্রী ও ছয় বছরের এক ছেলে রয়েছে।

উল্লেখ্য,গত রবিবার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর মগবাজারে তিনতলা একটি ভবনের নিচতলায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১০ জন নিহতের পাশাপাশি আহত হয়েছেন ৬০ জনেরও বেশি মানুষ। তাদের মধ্যে ১৭ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। বাকিদের আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ বিস্ফোরণে মূল সড়কের পাশে তিনটি ভবন প্রায় বিধ্বস্ত। আশপাশের অন্তত সাতটি ভবনের কাঁচ উড়ে গেছে। দুমড়েমুচড়ে গেছে রাস্তায় থাকা তিনটি বাস।

ঘটনা তদন্তে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর, বিস্ফোরক পরিদফতর, পুলিশ সদর দফতর ও তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ আলাদা কমিটি করেছে। কমিটির সদস্যরা সোমবার (২৮ জুন) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

বিস্ফোরণে হতাহত হওয়ার ঘটনায় অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার জন্য মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রমনা থানায় মামলাটি হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ভবনে অতি পুরোনো বৈদ্যুতিক লাইন ব্যবহার করা হচ্ছিল। ত্রুটিপূর্ণ গ্যাস ব্যবস্থাপনা থাকায় ভবনের ভেতরে গ্যাস জমে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে। নিচতলার শরমা হাউস, বেঙ্গল মিট, গ্র্যান্ড কনফেকশনারি এবং দ্বিতীয় তলায় থাকা সিঙ্গারের অবহেলাও থাকতে পারে। তারা অননুমোদিত গ্যাস ও বৈদ্যুতিক সামগ্রী ব্যবহার করছিল বলেও প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের অবহেলাজনিত গ্যাস সরবরাহ, বিদ্যুৎ কোম্পানির ত্রুটিপূর্ণ সংযোগ এবং সিটি করপোরেশনের অপরিকল্পিত ও গাফিলতিপূর্ণ ড্রেন খননের কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে কি না, তা তদন্তযোগ্য। এজাহারে এসব সন্দেহের বিষয় উল্লেখ করে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে কাউকে আসামি করা হয়নি।

পুলিশের করা মামলাটি তদন্ত করে আগামী ১০ আগস্টের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম এ আদেশ দেন।