English Version
আপডেট : ৩০ জুন, ২০২১ ১৩:০৭

দিনাজপুরে করোনা রোগীর প্রকোপে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমসিম

অনলাইন ডেস্ক
দিনাজপুরে করোনা রোগীর প্রকোপে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমসিম

দিনাজপুরে দিন দিন করোনা রোগী বেড়েই চলেছে। বেড খালি না থাকায় প্রতিনিয়তই বেড বাড়ানো এবং চিকিৎসা সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। 

দিনাজপুরে আরটিপিসিআর এবং আ্যান্টিজেন্ট টেস্ট এ যতই পরীক্ষার পরিধি বাড়ানো হচ্ছে, ততই শনাক্তও বাড়ছে। রোগী বাড়ার সাথে হাসপাতালের বেডও বাড়ানো এবং চিকিৎসক সংকট দূর করতে স্বাস্থ্যবিভাগের সাথে কথা বলছেন। এরপরেও প্রতি উপজেলার পাশাপাশি দিনাজপুর শহরে আরেকটি আ্যান্টিজেন্ট টেস্ট চক্ষু হাসপাতালের সামনে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে শুরু করা হচ্ছে বলে জানান জেলা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুছ।

করোনা রোগীরা ভাল চিকিৎসা সেবা পেতে উপজেলার চেয়ে বেশী ভীড় করছেন দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এতে রোগীর বেড সংকটে পড়ছে। তাই প্রতিদিনই বিকল্পভাবে অন্য ওয়ার্ড থেকে করোনা রোগীর বেডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। করোনা রোগী বেড়ে যাওয়ায় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭৬টি শয্যা থেকে বাড়িয়ে এখন ১৫০টি করা হয়েছে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ৩৫টি, কাহারোলে ২৫টি, বিরলে ২৫টি, পার্বতীপুর ল্যাম্প হাসপাতালে ১০টি এবং বাকী ১০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০টি করে মোট ১০০টি। এরমধ্যে দিনাজপুরে আইসিসিইউ বেড ১৬টি এবং এসডিও বেড ১১টি রয়েছে। 

জানা যায়, আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালে ১৪৮ জন করোনা রোগী ভর্তি রয়েছে এবং গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় একজনের মৃত্যুও হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৬জন। তবে হাসপাতালে চিকিৎসকরা সঠিক দায়িত্ব পালন করছেন কি না এবং করোনা রোগীকে ভর্তি না করে ফিরিয়ে দিচ্ছেন কি না এসব বিষয় নজরদারি করছেন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। 

দিনাজপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুছ জানান, 'করোনা রোগী বাড়ার সাথে সবরকম ব্যবস্থা করে যাচ্ছি। চিকিৎসা বঞ্চিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীর জন্য ১৫০ বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং আরও ৫০টির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়াও ৫০০ জন রোগীর জন্যে অক্সিজেনের ব্যবস্থা এবং অক্সিজেন সরবরাহে নিরাপত্তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।'

তিনি আরও জানান, 'বিভিন্ন উপজেলার হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। কিছুদিন আগে বিভিন্ন উপজেলা থেকে ৫০ জন চিকিৎসক এনে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যেহেতু করোনা রোগী বাড়ছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে।' শিগগিরই ঘাটতি পূরণ করা যাবে বলে আশাবাদী তিনি।