English Version
আপডেট : ২৯ জুন, ২০২১ ১৫:১১

বাংলার নবাবের ওজন ২৫ মন, দাম হাকিয়েছেন ১২ লক্ষ টাকা

অনলাইন ডেস্ক
বাংলার নবাবের ওজন ২৫ মন, দাম হাকিয়েছেন ১২ লক্ষ টাকা

অল্প কিছুদিন পর ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। তাই করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও কোরবানির পশুর হাট বসানোর প্রস্তুুতি শুরু হয়েছে। খামারি ও বেপারিরাও সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছেন। সব কিছু বিবেচনায় কোথায় কোথায় পশুর হাট বসানো হবে তা নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে দিক-নির্দেশনা দেওয়া হবে। তবে পশুর জোগান বেশি থাকায় ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে খামারিরা শঙ্কায় রয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৯ জুন) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, বগুড়ার শেরপুরের ভবানীপুর গ্রামের আমিনপুর উত্তরপাড়া গ্রামের রেজাউল করিম সখের বসত তিন বছর ধরে একটি ব্রাহমা জাতের গরু “বাংলার নবাব” লালন পালন করেছে। ৬ দাঁতের গরুটির বর্তমান ওজন প্রায় ২৫ মন (বুকের ব্যাড় ৭ ফিট ৮ ইঞ্চি, দৈর্ঘ্য ৬ ফিট ৫ ইঞ্চি) গরুটির ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছে কৃষক রেজাউল। তিনি জানান, কোনো ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করিনি। প্রাকৃতিক উপায়ের মোটাতাজা করেছি কারণ এতে ঝুঁকিও থাকে কম। রেজাউলের ২৫ মন ওজনের গরুটির দাম হাকিয়েছেন ১২ লক্ষ টাকা।

খামারি শামীম হোসেন তিনি বলেন, এবার গরু বিক্রি করে লাভ নিয়ে শঙ্কায় আছি। সবচেয়ে ভয় হলো- পশু বিক্রি না করতে পারলে বছরজুড়ে খাটানো টাকার পুরোটাই লোকসান হয়ে যাবে। আবার পরের কোরবানি পর্যন্ত পশু লালন-পালন করতে অনেক টাকা খরচ হবে। প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে চোরাই পথে গরু এলে এবার বড় ধরনের লোকসানে পড়তে হবে। এবার যাতে অন্য দেশ থেকে পশু না আসে, সেদিকে সংশ্লিষ্টদের খেয়াল রাখতে হবে।

প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গত বছরের মতো এবারও কোরবানির পশুর সংকট হবে না। বরং চাহিদার তুলনায় জোগান বেশি থাকবে। পশুর জোগান বেশি থাকায় ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কা খামারিদের।

উপজেলা সুত্রে জানাযায়, শেরপুর উপজেলায় কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ৩৬ হাজার ৪৬৩টি পশু রয়েছে। এর মধ্যে ২৪ হাজার ৮৫২ হাজার গরু-মহিষ, ১১ হাজার ৬১২ হাজার ছাগল-ভেড়া পশু রয়েছে।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর অফিসার ডা: মো: আমির হামজা জানান, কোরবানির পশুর চাহিদা দেশি গবাদি পশু দিয়ে পূরণ হয়। এবারও আমরা স্বাবলম্বী। সুতরাং কোরবানির পশু নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। তিনি জানান, দেশে পশু খামারের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। গবাদিপশু সুস্থ রাখতে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মাঠপর্যায়ে কৃষকদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রাকৃতিকভাবে পশু মোটাতাজাকরণে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কৃষকরা সেইভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন। কোনো ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হচ্ছে না। কারণ প্রাকৃতিক উপায়ের তুলনায় রাসায়নিকভাবে মোটাতাজা করলে খরচ বেশি হয় এবং ঝুঁকিও থাকে। মানুষের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। এসব কৃষকরাও বুঝতে পেরেছেন। করোনা মহামারির মধ্যেও আমাদের কার্যক্রম একদিনের জন্যও থেমে থাকেনি।