English Version
আপডেট : ২৯ জুন, ২০২১ ১২:৫৭

ঢাকা ছাড়ছে মানুষ, শিমুলিয়াঘাটে যাত্রীদের ভীড়

অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা ছাড়ছে মানুষ, শিমুলিয়াঘাটে যাত্রীদের ভীড়

কঠোর লকডাউনকে কেন্দ্র করে আজও রাজধানী ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। এতে দেশের দক্ষিনবঙ্গের ঘরমুখি মানুষের ভীড় দেখা দিয়েছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাটে। মঙ্গলবার (২৯জুন) সীমিত পরিসরে লকডাউনের দ্বিতীয়দিন ভোর থেকে দক্ষিণবঙ্গমুখি যাত্রীদের ঘাটে আসতে দেখাযায়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে চাপ।

বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটে সহকারী ব্যবস্থাপক (বানিজ্য) ফয়সাল আহমেদ জানান, লকডাউনকে কেন্দ্র করে ঘাটে মানুষ আসছে। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে বর্তমানে মোট ১৪টি ফেরি সচল রয়েছে। ঘাট এলাকায় পারাপারের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে ২শতাধিক গাড়ি। সিরিয়াল অনুযায়ী সব গাড়ি পার করা হবে। যাত্রী পারাপারের বিষয়ে আমাদের সুনির্দিষ্ট কোন নির্দেশনা নেই। যারা ঘাটে আসছে তারা পার হতে পারছে।

করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগামী ১ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তা আবার বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দাকার আনোয়ারুল ইসলাম। সোমবার দুপুরে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, আমাদের যেটা এক্সপিরেয়েন্স সেটা হলো- চাপাইনবাবগঞ্জ স্ট্রিক্টলি ব্লক করে দেওয়ায় সংক্রমণ অনেক কমে গেছে। সাতক্ষীরায় ইমপ্রুভ করেছে। যেখানে যেখানে আমরা মুভমেন্ট রেসস্ট্রিক্ট করে দিয়েছি সেখানে ইমপ্রুভ করেছ। সরকার যদি মনে করে আরও সাতদিন যেতে হবে, সেটাও বিবেচনায় আছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আগামী ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত ঘরের বাইরে বের হওয়া নিষেধ। এই সময়ে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। বিধিনিষেধ চলাকালে এবার কোনো মুভমেন্ট পাস থাকবে না। জরুরি সেবা ছাড়া কেউ ঘর বের হতে পারবে না।

খন্দাকার আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, লকডাউন, শাটডাউন এসব কিছু না, কড়া বিধিনিষেধ পালন করা হবে। আগামী ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি।

তিনি বলেন, আমরা সারাদেশের স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা ভিডিও প্রেজেন্টেশনে দেখছি দেশের একটা বড় অংশ রেড, অরেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে। কিছু বাস্তব কারণে ৩০ জুন পর্যন্ত করতে পারছি না। তবে ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই স্ট্রিক বিধিনিষেধ আরোপ হবে।

এই সাতদিন সাধারণ ছুটি কি না- প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছুটি থাকবে কেন? নিষেধাজ্ঞা। লকডাউন আর নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পার্থক্য আছে। সব বন্ধ করে দিতে পারবেন না। জরুরি সেবা চালু থাকবে।

পোশাক শিল্প বা রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা বন্ধ থাকবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ বিষয়ে আবার বসা হবে, হয় তো কালকেই (মঙ্গলবার) বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন।

বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন কৌশল সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, এরইমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আগামীকাল বা পরশুদিন আবার বসব। সেখানে বিস্তারিত আলাপ হবে।

প্রসঙ্গত করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে তিন দিনের লকডাউনের প্রথম দিন আজ। চলবে আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে সব ধরনের গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। দোকানপাট ও শপিংমলও বন্ধ থাকবে।