English Version
আপডেট : ২৮ জুন, ২০২১ ১২:৪৬

২৪ ঘন্টায় খুলনায় ১১ জনের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক
২৪ ঘন্টায় খুলনায় ১১ জনের মৃত্যু

খুলনা করোনা ডেডিকেট হাসপাতালে ৬জন এবং গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫জন মিলে দুই হাসপাতালে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এসময়ের মধ্যে খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। আজ সোমবার (২৮ জুন) সকালে এসব হাসপাতালের মুখপাত্ররা এমনি তথ্য জানিয়েছেন।

খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, খুলনা করোনা ডেডিকেট হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় আরো ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হাসপাতালের রেড জোনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৩০ শয্যার হাসপাতালটিতে আজ সকাল পর্যন্ত ১৬৯জন চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরমধ্যে রেড জোনে ৯৯জন, ইয়ালো জোনে ২৫জন, আইসিইউতে ১৯জন এবং এইচডিইউতে ২০জন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৪১জন। আর সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ৩৪ জন।

মৃত ব্যক্তিরা হলেন, খুলনার খানজাহান আলী থানা এলাকার আকলিমা (৩৫), সাতক্ষীরার তালার মোঃ সিফাতুল্লাহ্ (৮৫), খুলনার মৌলভীপাড়ার ফেরদৌসী ইসলাম (৫৮) ও নাইলী (৬৭), খুলনার ডুমুরিয়ার আম্বিয়া (৩৫) এবং বাগেরহাটের মংলার প্রদীপ কুমার (৬৩)।

অন্যদিকে, খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালের স্বত্তাধিকারী ডাঃ গাজী মিজানুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, আজ সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত তার হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৯৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ২৬জন আর সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ১৩জন। আইসিইউতে রয়েছেন চারজন আর এইচডিইউতে আছেন ৯জন।

মৃত ব্যক্তিরা হলেন- বাগেরহাট সদরের লাউপোল এলাকার নারায়ন (৭১), খুলনার বটিয়াঘাটার জেবুন্নেসা (৬৭), নড়াইল লোহাগড়ার কতাকল এলাকার আব্দুর রহমান (৬০), গোপালগঞ্জের আড়পাড়ার সুফিয়া বেগম (৪৫), খুলনার হরিণটানা এলাকার এমএ হাশেম (৬৮)।

খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডাঃ কাজী আবু রাশেদ জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৭জন, তার মধ্যে ৩৩জন পুরুষ ও ৩৪জন মহিলা। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ৯জন।

খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা: মেহেদী নেওয়াজ জানান, গতকাল রবিবার (২৭ জুন) রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ১৮৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার প্রায় ৪০ শতাংশ। এর আগে শনিবার খুমেক ল্যাবে শনাক্তের হার ছিল ৫০ শতাংশ, শুক্রবার ৩৭.৯০ শতাংশ, বৃহস্পতিবার ৫১.৫৫ শতাংশ, বুধবার ৩৪ শতাংশ, মঙ্গলবার ৪০ শতাংশ, আর সোমবার ছিল ৩১ শতাংশ।

তিনি জানান, খুমেকের পিসিআর মেশিনে রবিবার মোট ৪৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১৮৪ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ শনাক্ত হয়। যার মধ্যে খুলনার ৩৩০ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১৩২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়া বাগেরহাটে ৪০ জন, যশোরে ৩ জন, সাতক্ষীরায় ৩ জন, নড়াইলের ১ জন, পিরোজপুরের ১ জন, গোপালগঞ্জ ৩ জন ও ঢাকার ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়।