English Version
আপডেট : ২৪ জুন, ২০২১ ১৬:৪৮

চুক্তি ভিত্তিক কর্মচারীদের ছাটাই বন্ধের দাবি

অনলাইন ডেস্ক
চুক্তি ভিত্তিক কর্মচারীদের ছাটাই বন্ধের দাবি

পঞ্চগড়সহ ৬টি চিনিকল চালু, চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক কর্মচারীদের ছাটাই বন্ধ ও মৌসুমি শ্রমিক কর্মকর্তাদের বেতন মজুররি প্রদানের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে পঞ্চগড় চিনিকলের চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীরা।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) দুপুরে পঞ্চগড় চিনিকলের দক্ষিণ গেটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম ও প্রবীণ কর্মচারী আব্দুল লতিফ বক্তব্য দেন।

বক্তারা বলেন, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী মা বলেছেন, ঘরে ঘরে চাকরি দিবেন, সেখানে চাকরি থেকে ছাটাই করতে পারেন না। পঞ্চগড় চিনিকলে ২৪৮ জন শ্রমিক চুক্তিভিত্তিতে কাজ করেন। ছয়টি চিনিকলে চুক্তিভিক্তিক শ্রমিকের সংক্যা ২৮৬৮ জন। বাংলাদেল চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন বন্ধ চিনিকলগুলোর কোন কর্মচারী ও কর্মকর্তাকে ছাটাই করা হবে না বলে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়েছে।

আখক্রয় কেন্দ্রগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তার জন্য শিল্প সচিব ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন। সেখানে পঞ্চগড় চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এই নির্দেশ না মেনে আমাদের ছাটাই করেছেন। যদি স্থায়ী চুক্তিভিত্তিক সেন্টারগার্ড কাম স্কেলম্যানদের অব্যাহতি দেওয়ার চিঠি প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে ধাপে ধাপে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

পঞ্চগড় চিনিকলের চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক কর্মচারিদের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন বিনা নোটিশে আমাদেরকে সেন্টার ছেড়ে দেওয়ার চিঠি দিয়েছে, আসলে শিল্পমন্ত্রনালয়ের নির্দেশ উপেক্ষা করে একটি অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে পঞ্চগড় চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আমরা সেন্টার ছেড়ে দিবোনা। যদি আমাদের দাবী মানা না হয় আগামি ২৬ জুন থেকে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক কর্মচারিরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে। প্রয়োজনে প্রধামন্ত্রীর কার্য্যালয়ের অভিমুখে লংমার্চ করবো। প্রধানমন্ত্রী আমাদের মা তিনি বিষয়টি বুঝবেন। পঞ্চগড় চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খুরশিদ জাহান মাফরুহা এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজী হয়নি।

তবে চিনিকলের পরিচালক (প্রশাসন) ইউসুফ আলী সাংবাদিকদের জানায় আসলে বর্তমানে পঞ্চগড় চিনিকলের আখ মাড়াই বন্ধ ঘোষনা করেছে সরকার। কাজ নাই মুজুরি নাই ভিত্তিতে ওই শ্রমিকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী গত ডিসেম্বরে একশত জন, এপ্রিলে ৫০ জন, ৩১ মে তে ৭০ জন শ্রমিকের কাজ না থাকায় তাদের কাজে না আসার জন্য চিঠি প্রদান করা হয়েছে।