English Version
আপডেট : ২৪ জুন, ২০২১ ১৩:১০

মুন্সিগঞ্জে নেই প্রশাসনের তৎপরতা; চলছে যানবাহন, খোলা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

অনলাইন ডেস্ক
মুন্সিগঞ্জে নেই প্রশাসনের তৎপরতা; চলছে যানবাহন, খোলা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

দেশ জুড়ে করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনের ৩য় দিনে মুন্সিগঞ্জে স্বাভাবিক সময়ের মতোই আজ সকাল থেকে চলাচল করছে সকল যানবাহন, সিএনজি অটোরিক্সা আর লেগুনা। তবে বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস চলাচল। এছাড়াও সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে খোলা রয়েছে সকল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সহ মার্কেট শপিং মল ও বিপণিবিতানগুলো।

করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা এই জেলায় অধিকাংশ মানুষকে মানতে দেখা যায়নি স্বাস্থ্যবিধি। স্বাভাবিক সময়ের মতো হাট-বাজার ও সড়কগুলোতে আজও ছিল মানুষের সরব উপস্থিতি তবে,বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় অনেক বের হয়েছেন দৈনন্দি কাজে। এর মধ্যে অধিকাংশ মানুষের মুখে দেখা যায়নি মাস্ক কিংবা মানতে সামাজিক দূরত্ব।

আর লকডাউন বাস্তবায়নে জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে কোথাও চোখে পড়েনি প্রশাসনের তেমন কোন তৎপরতা। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে বৃষ্টির প্রভাব কমে আসায় স্বাভাবিক সময়ের মতোই সব স্থানে বেড়েছে মানুষের উপস্থিতি। সাধারণ মানুষ বলেছেন জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়েই করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি মাথায় নিয়ে বের হতে হয়েছে তাদের। এছাড়া লঞ্চ টার্মিনাল গুলোতে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল।

শুধু এম্বুলেন্স ও জরুরী পন্য পরিবহনের জন্য শিমুলিয়া – বাংলাবাজার নৌরুটে সীমিত পরিসরে চলাচল করছে ফেরি। ফলে লঞ্চ সহ অন্যান্য নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় ফেরি গুলোতে সকাল থেকেই ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) শফিকুল ইসলাম জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ঘাটের সকল নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

তবে এম্বুলেন্স ও জরুরী সেবার যানবাহন সহ পন্যবাহী যানবাহন পারাপারের জন্য সীমিত পরিসরে ফেরি সার্ভিস চালু রাখা হয়েছে। বতর্মানে ঘাট এলাকায় পাড়াপাড়ের অপেক্ষায় রয়েছে ৪ শতাধিক পণ্য ও যাত্রীবাহী প্রাইভেটকার। আর লকডাউন উপেক্ষা করে সকাল থেকেই পারাপারের অপেক্ষায় ঘাট এলাকায় ভিড় জমিয়েছে কয়েক শতাধিক মানুষ।তাই এই বাড়তি চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ঘাট কর্তৃপক্ষকে। উল্লেখ্য, চলতি মাসে জেলায় নতুন করে আরো ১৬৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। আর করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৭১ জন।