English Version
আপডেট : ২৩ জুন, ২০২১ ১৫:৪০

করোনায় বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সৃষ্টি হয়েছে নোংরা পরিবেশ

অনলাইন ডেস্ক
করোনায় বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সৃষ্টি হয়েছে নোংরা পরিবেশ

বগুড়ার শেরপুরে করোনা ভাইরাসের কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় ভবনগুলো পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পরিস্কার না করায় শ্রেণীকক্ষে ধুলা-বালু পরে রয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ গরুর মল দিয়ে ঘুটা তৈরীর কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এবং মাঠে নির্মান সামগ্রী রাখায় নোংরা পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও উঠতি বয়সের যুবকরা বন্ধ স্কুলে মোবাইলে গেমস খেলছে ও মাদক সেবন করে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। স্কুলের ভবনে শ্যাওলা পড়ে সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছে। ভবনগুলি দেখে মনে হচ্ছে এটি কোন স্কুল নয় যেন ভুতুড়ে বাড়ি।

শেরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, স্কুলের ভবনে দীর্ঘদিন ধরে তালা ঝুলছে। পৌর শহরের উলিপুর আমেরিয়া সমতুল্যায় ফাজিল স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মহিলা মাদ্রাসা, খানপুর ইউনিয়নের বড়ইতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কয়েরখালি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, খানপুর দ্বী-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়, সুঘাট ইউনিয়নের চকধলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিশালপুর ইউনিয়নের বেওড়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বামিহাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনগুলোর দেয়ালে শ্যাওলা জমে গেছে। এতে স্কুলের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। ষ্কুলের ভিতর ব্রেঞ্চের উপর পুরু হয়ে ধুলা-বালি জমে নোংড়া পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। স্কুলের কর্তৃপক্ষরা করোনা কালীন সময়ে কোনদিন স্কুলে গিয়েছেন কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এভাবে চলতে থাকলে নিজ বিদ্যালয়ের নামটাই ভুলে যাবে শিশু শিক্ষার্থীরা।

এ ব্যাপারে চকধলী গ্রামের বেশ কয়েকজন অভিভাবক জানান, কতদিন ধরে চকধলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা হয়না তা হিসাব করে বলা কঠিন। খানপুর মধ্যপাড়া গ্রামের অনেকেই বলেন, আমাদের এই উচ্চ বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মানের কাজ চলছিল। প্রায় ৬ মাস আগে নির্মান কাজ বন্ধ গেছে। কিন্তু মাঠের মধ্যে নির্মান সামগ্রী ফেলে রেখে যাওয়ায় কেউ খেলাধুলা করতে পারছেনা। এমনকি বৃস্টির পানি বের হতে না পেরে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ভবানীপুর ইউনিয়নের ছোনকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গন নিয়মিত পরিস্কার না করার কারণে ঘাস বড় হয়ে গেছে। সেখান দিয়ে হেটে চলা মুসকিল হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক

এএসএম রশিদুল হাসান জানান, বিদ্যালয়ের গেট খোলা থাকার কারণ দুই একটা ছাগল ভিতরে প্রবেশ করে বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করে।

খামারকান্দি বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. আবুল হোসেন বলেন, করোনা কালীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া বন্ধ করে দেওয়ায় পিতা-মাতারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। আর বুঝি তাদের ছেলে মেয়েরা শিক্ষার আলো দেখবেনা।

এ প্রসঙ্গে শিক্ষা কর্মকর্তা মেছিা. মিনা পারভিন বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনগুলো পরিস্কার রাখা হয়েছে। শুনেছি মাদ্রাসা ও কলেজগুলো অপরিস্কার আছে।

উপজেলা উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা মো. নজমুল হক বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নির্দেশনা দেয়া আছে তারা যেন করোনা ভারইরাসের প্রকোপের মাঝেও প্রতিষ্ঠানে যান।