English Version
আপডেট : ২৩ জুন, ২০২১ ১২:৫০

খুলনার তিন হাসপাতালে আরও ১৩ জনের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক
খুলনার তিন হাসপাতালে আরও ১৩ জনের মৃত্যু

 তিন হাসপাতালে আরও ১৩ জনের মৃত্যু   প্রকাশিত: ১২:২৯ অপরাহ্ণ, ২৩ জুন ২০২১খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬ জন, গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৬ জন এবং খুলনা জেনারেল (সদর) হাসপাতালে একজন মিলে মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল থেকে বুধবার (২৩ জুন) সকাল পর্যন্ত এসব রোগীর মৃত্যু হয়।

মৃত ১৩ জনের মধ্যে রয়েছেন খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছয়জন, খুলনা জেনারেল হাসপাতালে একজন ও বেসরকারি গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছয়জন।খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিসিৎসক (আরএমও) ডা. সুভাষ রঞ্জন, খুলনা জেনারেল হাসপাতালের ডা. রাশেদ ও গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. গাজী মিজান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছয়জন হলেন- বাগেরহাটের আফজাল শেখ (৬২), নড়াইলের নির্মল কান্তি সাহা (৭৯), যশোরের ভানু বেগম (৬০), খুলনার মো. সোহরাব শেখ (৬৮), সামসুর আলম (৫৮) ও আনোয়ারা (৫৮)। আর খুলনা জেনারেল হাসপাতালে মানা যান খুলনার হোসনে আরা (৬০)।

এছাড়া বেসরকারি গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন ছয়জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ৮১জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে ৬ জন আইসিইউতে ভর্তি।

মৃত ব্যক্তিরা হলেন- নগরীর সোনাডাঙ্গার মনিরুল ইসলাম (৬২), খালিশপুরের জালাল আহমেদ খান (৬৫), যশোরের মনিরামপুরের জাকির হোসাইন (২৯), খুলনার মৌলভীপাড়ার মো. মাসুদুল হক (৮৫), বাগেরহাটের হাকিমপুরের জ্যোস্না রানী দাশ (৫৬) ও খুলনার খানজাহান আলী থানা এলাকার মিয়া মাহবুবুর রহমান (৯৫)।

খুলনা মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, খুমেকের পিসিআর মেশিনে গতকাল মঙ্গলবার (২২ জুন) ৫৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২২৪ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে খুলনার ৪৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১৮৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এ ছাড়া বাগেরহাটের ২৭ জন, যশোরের ৭ জন, পিরোজপুরের ৩ জন, সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জে ও চুয়াডাঙ্গা জেলার একজনের করে করোনা শনাক্ত হয়। খুমেক পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষায় শনাক্তের হার প্রায় ৪০ শতাংশ।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭৭১ জনের। আর আক্রান্ত হয়েছে ৩০৫ জন। এ জেলায় আক্রান্তের হার ৩৯ শতাংশ।