English Version
আপডেট : ২১ জুন, ২০২১ ১৪:১২

জালিয়াতির মাধ্যমে বাল্য বিয়ে-তালাক রেজিস্ট্রির অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
জালিয়াতির মাধ্যমে বাল্য বিয়ে-তালাক রেজিস্ট্রির অভিযোগ

নাটোরের গুরুদাসপুরে অবৈধভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রি করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের আতিকুল ইসলাম মিন্টুর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সোমবার সকালে গুরুদাসপুর উপজেলা কাজী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে একটি সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে কাজী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব কাজী মাওলানা মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিয়াঘাট ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মৃত-আনোয়ার হোসেনের ছেলে আতিকুল ইসলাম মিন্টু। তিনি পেশায় একজন খামারী। তিনি অবৈধভাবে বিগত ৮-১০ বছর যাবৎ বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রি করে আসছেন। তিনি নিজে কোনো বিবাহ ও তালাক রেজিষ্ট্রার নয় এবং অন্য কোন কাজীর মহুরীও নয়। সম্পূর্ণ গোপনে অন্যায়ভাবে বিভিন্ন সময় গ্রামের বাল্য বিবাহসহ আরো অনেক রকেম বিবাহ অবৈধভাবে রেজিস্ট্রি করে আসছেন। এর কারণে বাল্যবিবাহের প্রবণতা গ্রামে বেড়েই চলছে। 

কাজী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. আশরাফুল আলম বলেন, গত ৬ জুন চন্দ্রপুর ওয়াবদা সাকিনের বাবলুর মেয়ের অবৈধভাবে বাল্যবিবাহ রেজিস্ট্রি করেছে এবং কুমারখালী হাজির মোড় এলাকায় বাল্যবিবাহ অবৈধভাবে রেজিস্ট্রি করে মেয়ের বাবার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাছাড়াও অসংখ্য বিবাহ জালিয়াতির মাধ্যমে তিনি রেজিস্ট্রি করছে। এ ঘটনায় দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনগত ভাবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনাও করেন কাজী কল্যাণ সমিতির সদস্যরা। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কাজী কল্যাণ সমিতির সদস্য আব্দুল হাকিম, আব্দুল বাসেদ বুলবুলসহ প্রমুখ।এ বিষয়ে অভিযুক্ত আতিকুল ইসলাম মিন্টু মুঠোফোনে বলেন, তিনি আগে রেজিস্ট্রি করতেন। তবে এখন আর করেন না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তমাল হোসেন বলেন, দ্রুত তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।