English Version
আপডেট : ২১ জুন, ২০২১ ১১:০৯

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন, অতঃপর ...

অনলাইন ডেস্ক
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন, অতঃপর ...

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নিমগাছীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন অবস্থায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক প্রেমিকা। এ ঘটনার পর থেকেই প্রেমিক সোহান বাড়ি থেকে পালিয়েছেন। রবিবার (২০ জুন) সকালে প্রেমিকাকে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযুক্ত প্রেমিক মেহেদী হাসান সোহান (২২) রায়গঞ্জ উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের নিমগাছি বাজারের পুল্লাহ গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। আর প্রেমিকা  কলেজছাত্রী (১৯) একই ইউনিয়নের দোস্তপাড়া গ্রামের আ. রশিদের মেয়ে। তারা দুজনই নিমগাছি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী।

কলেজছাত্রী জানান, প্রায় তিন বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রেমিক সোহান তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও করেছে। সম্প্রতি বিষয়টি পরিবার জেনে যায়। এরপর থেকেই সোহানকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে রাজি হননি প্রেমিক। মাস তিনেক হলো শুধু তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েই যাচ্ছেন। এখন সেই সম্পর্ক অস্বীকার করছে প্রেমিক। তার পরিবারও এই সম্পর্ক মানতে নারাজ।

এ পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে শনিবারে অনশন শুরু করেন ওই কলেজছাত্রী প্রেমিকা। এ সময় প্রেমিকের বাবা-মা ওই কলেজপড়ুয়া মেয়েকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। সে বাড়ি থেকে বের না হওয়ায় তাকে মারধরও করা হয়। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রবিবার সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ অবস্থায় প্রেমিক বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবেন বলেও জানান ওই কলেজছাত্রী।

পলাতক থাকায় এ নিয়ে প্রেমিক সোহানের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, তার ছেলের সঙ্গে ওই মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক নেই। এলাকার কিছু কুচক্রি মহল আমাদের ওপর ষড়যন্ত্র করে মানসম্মান ক্ষুণ্ন করতেই ওই মেয়েকে আমার বাড়িতে তুলে দিয়েছে।

এ বিষয়ে রবিবার সন্ধ্যায় রায়গঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) হোসাইন জানান, প্রেম সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এক মেয়ে তাঁর প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছিলেন। সেখানে প্রেমিকের পরিবারের সদস্যরা তাকে নাকি মারধর করলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই মেয়েটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।