English Version
আপডেট : ২০ জুন, ২০২১ ১৬:২২

কুলসুমের চোখে আনন্দাশ্রু

অনলাইন ডেস্ক
কুলসুমের চোখে আনন্দাশ্রু

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পুরাতন মানিকদাহ গ্রামের আশ্রয়ন প্রকল্পে একটি ঘর পেয়ে অনন্দে কেঁদে ফেলেন ৯৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা কুলসুম বেগম। আজ রবিবার সকালে ঘরের দলিল ও চাবি হাতে পেয়ে চোখের জল ফেলে দেন তিনি। কাঁদতে কাঁদতে বলেন, 'আমার এই শেষ জীবনে শেখ হাসিনা মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন। স্বামী পরিত্যাক্তা মেয়ে, নাতি নাতনী নিয়ে এখন নিজের ঠিকানায় থাকতে পারবো। কোন দিন নিজের ঘর বা বাড়ি হবে তা ভাবতে পারিনি। যতদিন বাঁচবো শেখ হাসিনার জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করবো।'

কুলসুম বেগম, ১৫ বছর আগে স্বামী জব্বার আলী মাতুব্বর বার্ধক্য জনিত কারণে মারা যান। শহরের থানাপাড়ায় একটি বস্তিতে ৫০০ টাকা ভাড়া ঘরে থাকতেন। দুই ছেলে তিন মেয়ের মধ্যে দুই মেয়ে মারা গেছে। তাদের ছেলে মেয়ে নিয়ে তার বসবাস। 

কুলসুম বেগমর মত এমন আনন্দাশ্রু দেখা যায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পুরাতন মানিকদাহ গ্রামের সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব বরণকারী আবতাব বিশ্বাস (৩৬), চরগোবরা গ্রামের কৃষক হেদায়েত সিকদার (২২) ও পুরাতন মানিকদাহ গ্রামের দিনমজুর টিক্কা শেখ (৪৫), নিজড়া ইউনিয়নের মালেঙ্গা গ্রামের রিক্সাচালক মো. রমিছ মোল্লা (৫২), দিনমজুর আরজু ফকির (২৬), করপাড়া গ্রামের ঝিয়ের কাজ করা মর্জিনা বেগম (৫০), কৃষক আব্দুর রাজ্জাক মিয়াসহ (৮০) অসংখ্য সুবিধাভোগীর চোখে।

তারা বলেন, আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে জীবন চালাই। এই কারণে জমি কেনাতো দূরের কথা ঘর বানানোর স্বপ্ন দেখতে পারিনি। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের আশ্রয়স্থল দিয়েছে এতে আমরা মহা খুশি। ওনার জন্য দোয়া ছাড়া আর কিছু করার নাই। 

আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় গোপালগঞ্জে ৫৫৫টি ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ২৮১টি, কাশিয়ানী উপজেলায় ১৩০টি মুকসুদপুরে ১১০টি ও কোটালীপাড়ায় ৩৪টি ঘর। বাকী ২৫২টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলছে। সেগুলোও যথা সময়ে হস্তান্তর করা হবে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা জানিয়েছেন।

এ উপলক্ষে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনসহ স্ব স্ব উপজেলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় অনুষ্ঠানের। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের ঘর বিতরণ অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. ওসমান গনি, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান শেখ লুৎফর রহমান বাচ্চু, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুর রহমানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।