English Version
আপডেট : ১৯ জুন, ২০২১ ১১:৪৪

ই-কমার্সে সাফল্যের প্রথম বছরে নারী উদ্যোক্তা তাছলিমা

অনলাইন ডেস্ক
ই-কমার্সে সাফল্যের প্রথম বছরে নারী উদ্যোক্তা তাছলিমা

বর্তমান সময়ে ই-কমার্স বিজনেস দারুণ সফলতার গল্প নিয়ে সামনে এগিয়ে চলেছে। গত বছর কোভিড-১৯ এর কারণে পুরো দেশে যখন লকডাউন চলছে সেই সময়ে মানুষের নিত্য মৌলিক প্রয়োজন মেটাতে ই-কমার্স বিজনেস (অনলাইন) বিস্তার ঘটতে থাকে, বর্তমানে ব্যবসার অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। নতুন নতুন আইডিয়া যুক্ত হচ্ছে এই ব্যবসায়, তৈরী হচ্ছে উদ্যোক্তা।

এমনই এক নারী উদ্যোক্তা ময়মনসিংহের গৌরীপুরের তাছলিমা সাথী সারাফ বুটিকস গড়ে তুলে এক বছর পার করছেন অনলাইন ব্যবসা ই-কমার্সে। তিনি ২০২০ সালের ১৯জুন শুরু করেন এই ব্যবসা। আজ তার এই ব্যবসার এক বছর অতিক্রান্ত। শুরুর দিকটা ছিলো না মসৃণ, সকল বন্ধুরতা কাটিয়ে মেধা, মনন, পরিচিতি আর পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে প্রথম তিন মাসের মাথায়ই অর্ডার পান এক লাখ টাকার। এরপর পিছনে ফিরতে হয়নি তাকে।

তিনি ইতোমধ্যেই দেশের নারী উদ্যোক্তাদের বড় ই-কমার্স প্ল্যাটফরম Women and e-commerce forum (WE) এর লাখপতির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন, হয়েছেন একজন সফল নারী উদ্যোক্তা। এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে তার স্বামী একেএম সাজ্জাদ বিপুল ও তার পরিবারের পূর্ণ সহযোগিতা।

অত্যাধুনিক ও নতুন ডিজাইনের পোশাক দিয়ে সাজিয়েছেন গৌরীপুর পৌরসভার শান্তিবাগের নিজ বাসা। তার বেশির ভাগ গ্রাহক চাকরিজীবী, গৃহবধূ আর স্কুল-কলেজের ছাত্রীরা। তিনি ই-কমার্সের মাধ্যমে গৌরীপুর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্রাহকদের মাঝে সঠিক সময়ে পৌঁছে দিচ্ছেন শিশু ও নারীদের হরেকরকম পোষাক ও বিছানার চাদর।

সফল এ নারী উদ্যোক্তা তাছলিমা সাথীর জন্ম ময়মনসিংহের সদরের রাঘবপুর এলাকায়। লেতুমন্ডল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, মুমিনুন্নিসা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ত্রিশাল কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি এক কন্যা সন্তানের জননী।

নারী উদ্যোক্তা তাছলিমা সাথী ঢাকা প্রতিদিনের প্রতিবেদককে বলেন, এই ব্যবসার শুরুর দিকে এতোটা পরিচিতি ছিলো না। কিন্তু গুণগত পণ্য প্রদান করায় এই প্ল্যাটফর্মে একটি অবস্থান তৈরী হয়েছে। ব্যবসাটিকে বড় পরিসরে নিয়ে যেতে পরিবারসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করি।