English Version
আপডেট : ১৫ জুন, ২০২১ ১৮:০২

শারুনের নির্দেশেই চলছে নুসরাত

অনলাইন ডেস্ক
শারুনের নির্দেশেই চলছে নুসরাত

রাজশাহী মেডিকেলে করোনায় মারা যাওয়াদের বেশিরভাগই ডেল্টা ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। এদিকে করোনায় আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের ৪০ শতাংশই গ্রামাঞ্চলের বলছেন হাসপাতাল পরিচালক। রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মৃত্যুর হারও কমছে না বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাই সংক্রমনের বিস্তার ঠেকাতে শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও বিধিনিষেধ আরোপের পরামর্শ তাদের। এদিকে লকডাউনের সুফল পেতে সাত দিন নয়, অন্তত ১৪ দিনের লকডাউনের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎকরা।

এদিকে গ্রামাঞ্চলে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ায় শঙ্কিত স্থানীয় প্রশাসনও। এই সংক্রমন ঠেকাতে বুধবার জরুরী বৈঠকের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বললেন জেলা প্রশাসক। লকডাউনের পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে আগামীকাল বুধবার রাত সাড়ে আটটায় সার্কিট হাউজে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল এ দিকে হাসপাতাল কর্তপক্ষ জানাচ্ছেন, করোনা এখন শুধু শহরেই নয়, বিস্তার ঘটিয়েছে গ্রামাঞ্চলেও। তাই বাড়ছে আক্রান্তের হার, বাড়ছে রোগী ভর্তির সংখ্যাও। নতুন করে এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরো ৫৮ জন।

রাজশাহী মেডিকেলের করোনা ইউনিটে আজও প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন। এদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ ও ৫ জন নারী। হাসপাতাল পরিচালক বলছেন, মৃতদের বেশিরভাগই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হবার সম্ভাবন বেশি। কেননা বয়স্ক মানুষের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তরুণদের মৃত্যুর হারও। রোগীর চাপ সামলাতে হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটসহ মোট ১৩টি ওয়ার্ডে চলছে করোনা রোগীর চিকিৎসা। প্রস্তুত করা হচ্ছে আরো একটি ওয়ার্ড। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কাছে চাওয়া হয়েছে আরও ১৫ জন চিকিৎসক।