English Version
আপডেট : ১৫ জুন, ২০২১ ১৬:৫৪

দিনাজপুর সদরে ঢিলেঢালা লকডাউন

অনলাইন ডেস্ক
দিনাজপুর সদরে ঢিলেঢালা লকডাউন

দিন দিন করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরতে দিনাজপুর সদর উপজেলায় কঠোর লকডাউন মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের জারি করা এই লকডাউন চলবে আগামী ২১ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত। লকডাউনের কারণে শহরে অন্যান্যদিনের চেয়ে যানবাহন চলাচল কম ছিল। 

অপরদিকে, লকডাউনের কারণে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) পরীক্ষা স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ডা. ফজলুল হক স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার শহরে দেখা যায়, লকডাউনে মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, কার, মাইক্রো বাসসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল করবে না, বন্ধ থাকবে সব ধরনের দোকানপাট বন্ধের ঘোষনা থাকলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। সকাল থেকে শহর ও আশেপাশের সড়কে যানচলাচল প্রায় স্বাভাবিক ছিল। অনেক এলাকায় দোকানপাটও খোলা ছিল। মাস্ক ছাড়াই অনেককে চলাফেরা করতেও দেখা গেছে। এ দেখে অনেকেই বলছেন কঠোর লকডাউন চলছে ঢিলেঢালা। তবে শহরের চারুবাবুর মোড়, মডার্ণ মোড়, লিলি মোড়সহ কয়েক এলাকায় দোকানপাট বন্ধ ছিল।অন্যদিকে, শহরের বাইরে গোপালগঞ্জ বাজার, বটতলী, সুইহারী, চৌরঙ্গী মোড়, গুঞ্জাবাড়ী, রাজবাড়ী, গাবুড়া বাজার এলাকায় মানুষের অবাধ চলাচল দেখা গেছে। খোলা ছিল দোকানপাটও।ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা মেডিকেল রোডে চলাচল করার সময় মোকসেদ জানায়, সবাই চালাচ্ছে তাই আমিও বের করেছি অটোরিক্সা। তা ছাড়া রোজগার না করলে আমরা চলবো কি করে। 

জেলা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুছ জানান, গত ২৪ ঘন্টায় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের পিসি আর টি ল্যাবের নমুনা পরীক্ষায় ৮৭টি রিপোর্টের মধ্যে ২৬টি রিপোর্ট করোনা পজিটিভ হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুর সদরেই ১৯জন আক্রান্ত। এনিয়ে বর্তমানে দিনাজপুর জেলায় করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ৫৪৩ জন। শনাক্তের হার ৩২.৫ শতাংশ। 

আর গত ২৪ ঘন্টায় করোনা (কোভিড-১৯) আক্রান্ত ১৫ জন রোগী সুস্থ হয়েছে। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে ৫১৩ জন এবং হাসপাতালে ভর্তি ৭০ জন রয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৪৪ জনের। তিনি আরও জানান, জেলায় গত ১৫ দিনে ৫৬১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুর সদরে ৩৭১ জন আক্রান্ত ও ৬ জন মারা যায়।