English Version
আপডেট : ১৫ জুন, ২০২১ ১৩:৪৭

এমপি শেখ তন্ময়ের উদ্যোগ ‘নমুনা সংগ্রহকারী যাবে আপনার বাড়ি’

অনলাইন ডেস্ক
এমপি শেখ তন্ময়ের উদ্যোগ ‘নমুনা সংগ্রহকারী যাবে আপনার বাড়ি’

মোংলাসহ বাগেরহাটের সর্বত্র করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে চলায় বাগেরহাটের- ২ আসনের এমপি শেখ সারহার নাসের তন্ময় ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে ২টি গাড়িতে করে বাড়িতে-বাড়িতে গিয়ে র‌্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে স্বাস্থ্যকর্মীরা। ‘হটলাইনে ফোন করি, নমুনা সংগ্রহকারী যাবে আপনার বাড়ি’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে দুটি হটলাইন নম্বরে ফোন পেয়েই প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীরা গাড়িতে করে দ্রুত ছুটে যাচ্ছেন করোনার উপসর্গ থাকা লোকজনের বাড়িতে।

এদিকে বাগেরহাটে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় আরও ৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মত্যু হয়েছে ১ জনের। জেলায় সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ৪০ শতাংশে। তিন সপ্তাহের চলমান কঠোর বিধিনিষেধের ২০তম দিনে এসেও কমছে না মোংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মঙ্গলবার মোংলায় করোনা পরীক্ষায় নতুন করে ৭ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। মোংলায় সনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশ।

মঙ্গলবার সকাল বাগেরহাট সদর হাসপাতালে বাড়িতে-বাড়িতে গিয়ে করোনা পরীক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক, সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূইয়া হেমায়েত উদ্দিন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন, মহিলা বাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভিন, স্বাধিনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. মোর্শারফ হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।উদ্ধোধনের পর-পরই বাগেরহাটের করোনার হটস্পর্ট মোংলা, রামপাল, শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও সদর উপজেলায় দুটি গাড়িতে করে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে করোনার পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, এমপি শেখ তন্ময়ে উদ্যোগে স্বাস্থ্য বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় বাড়িতে-বাড়িতে গিয়ে করোনা পরীক্ষার মাধ্যমে জেলায় করোনার ঊধ্বগতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের মধ্য নিয়ে আসা সম্ভব হবে।

বাগেরহাট জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, জেলায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষায় করোনা সনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৩৩৮ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫৮ জনের। এখন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১৪ জন, বাকিরা হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন।