English Version
আপডেট : ১২ জুন, ২০২১ ১৪:১৮

সীমান্তে মাদক ব্যবসায় ঝুঁকছেন জনপ্রতিনিধি ও তাদের সন্তানরা

অনলাইন ডেস্ক
সীমান্তে মাদক ব্যবসায় ঝুঁকছেন জনপ্রতিনিধি ও তাদের সন্তানরা

করোনাকালীন অধিক মুনাফার আশায় মাদকের ব্যবসায় ঝুঁকছেন শার্শা উপজেলার জনপ্রতিনিধি ও তাদের সন্তানরা। তাদের দু'-একজন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে মাঝে-মধ্যে ধরা পড়লেও বড় বড় চালানসহ গডফাদাররা থেকে যাচ্ছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। জনপ্রতিনিধি ও তাদের সন্তানরা মাদক পাচারের সাথে জড়িয়ে পড়ায় শঙ্কায় পড়েছে এ উপজেলার সুশীল সমাজ। তারা বলছেন, যারা সমাজকে ঘুণে ধরার হাত থেকে রক্ষা করবেন, তারাই যদি এ পেশায় জড়িয়ে পড়েন তাহলে জাতিকে উদ্ধার করবে কারা?

গত মঙ্গলবার বিকালে শার্শা থানার এএসআই আকবর হোসেন উপজেলার সাতক্ষীরা-নাভারন মহাসড়কের সাতমাইল গরুর হাটের সামনের শার্শা উপজেলার সামটা গ্রামের ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমানের ভাইপো সাগর হোসেন (২০) ও একই এলাকার রেজাউল ইসলামের ছেলে কামরুল ইসলামকে (২৬) ২৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও একটি মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার করেন। এর আগে বেনাপোলের পুটখালী সীমান্ত থেকে গত ৪ মে ফেনসিডিল ও একটি মোটরসাইকেলসহ ইউপি সদস্য মোমিনুর রহমানকে (৩৬) আটক করে বিজিবি। তিনি বেশ কয়েকবার আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হলেও জামিনে বের হয়ে এসে আবার মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। এছাড়া ২১ মে সন্ধ্যায় উপজেলার মাকলা চৌরাস্তা এলাকা থেকে বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবির বকুলের ছেলে আশরাফুল আলম অপুকে (২৬) বিদেশি মদসহ আটক করে শার্শা থানা পুলিশ। এছাড়াও সীমান্ত এলাকার অনেক জনপ্রতিনিধি ও তাদের সন্তাননরা এ ব্যবসার সাথে সরাসরি জড়িত বলে জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। 

দিন দিন জনপ্রতিনিধি ও তাদের সন্তানদের মাদক কারবারের সাথে জড়িত হওয়ায় সচেতনমহল ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং সেইসঙ্গে অপরাধীদের কঠোর হস্তে দমন করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।