English Version
আপডেট : ৮ জুন, ২০২১ ১২:১০

পুকুরে রাতের আধারে দুর্বৃত্তদের দেয়া বিষে কয়েক হাজার মাছের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক
পুকুরে রাতের আধারে দুর্বৃত্তদের দেয়া বিষে কয়েক হাজার মাছের মৃত্যু

সাভারের আশুলিয়ায় এক মৎস্যচাষীর দুইটি পুকুরে রাতের আধারে দুর্বৃত্তদের দেয়া বিষে কয়েক হাজার পাঙ্গাস মাছ মারা গেছে। আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের দু'টি পুকুরে এ বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটেছে। তবে কারা এই বিষ প্রয়োগ করেছে তা এখনো জানা যায়নি।

ভুক্তভোগী খামারি রাসেলের অভিযোগ, বছর খানেক আগেও তার এই পুকুরে প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছ বিষ দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল। এবার দু'টি পুকুরের প্রায় আট-দশ লাখ টাকার মাছ একই পদ্ধতিতে মেরে ফেলা হয়েছে। পুকুরগুলো আমার বাসা থেকে বেশ খানিকটা দূরে মোজার মিল স্ট্যান্ডের পাশে। আয়তনে প্রায় এক বিঘার মতো হবে। একটার মধ্যে ১২ হাজার আর আরেকটার মধ্যে ছয় হাজার পাঙ্গাস পোনা ছাড়া ছিল। একেকটা পাঙ্গাস সবশেষ এক-দেড় কেজি ওজন হয়েছিল। এখন বাজারে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা কেজি পাঙ্গাস বিক্রি হয়। সেই হিসেবে আমার আট থেকে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। 

তিনি বলেন, ‘মনে হয় রাত ২-৩টার দিকে বিষ দিয়েছে। সকালে যখন মাছের খাবার দিতে এসেছি তখন দেখি মাছ নড়ে না। পরে পুকুরে লোক নামিয়ে দেখি পানির নিচে সব মাছ মরে পড়ে গেছে। সেখান থেকে প্রায় ৮০-৯০ মণ মাছ উঠিয়েছি।তিনি আরো জানান, গেল বন্যায় আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। ইপিজেডের বিষাক্ত পানি ঢুকে আমার এক পুকুরের প্রায় কোটি টাকার মাছ মারা যায়। অনেক টাকা ঋণ হয়ে আছি। এখন আবার এই মাছগুলো মেরে ফেললো। অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল আমার। 

সাভার উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা কামরুল হাসান সরকার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এই ধরনের বিষয়গুলোতে ডিপার্টমেন্টালি আসলে আমাদের করার মতো তেমন কিছু থাকে না। কারণ কেউ যে এখানে বিষ প্রয়োগ করেছে এটার কোনো স্বাক্ষী নাই। আবার পানি পরীক্ষা করে বিষ আইডেন্টিফাই করার মতো ব্যবস্থাও আমাদের এখানে নেই। একমাত্র ময়মনসিংহে থাকতে পারে, তবে সেটাও সুনিশ্চিত না। এখন ভুক্তভোগীর প্রথম করণীয় হচ্ছে, উনি যদি কাউকে সন্দেহ করে যে সে বিষ দিয়েছে তাহলে তিনি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সুস্পষ্ট কারণ দেখাতে হবে। এ জন্য আমরা তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো বলেন এই কর্মকর্তা।