English Version
আপডেট : ৫ জুন, ২০২১ ১৫:৫৬

হঠাৎ ভেকুর সামনের অংশে ধাক্কা, খনন করতেই বেড়িয়ে আসে ম্যাগনেট পিলার

অনলাইন ডেস্ক
হঠাৎ ভেকুর সামনের অংশে ধাক্কা, খনন করতেই বেড়িয়ে আসে ম্যাগনেট পিলার

ময়মনসিংহের রুপাখালীতে ম্যাগনেট পিলার আত্মসাৎ ও জমির মালিককে হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টাস এসোসিয়েশন ক্রাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা ম্যাগনেট পিলারটি উদ্ধার করে রাষ্ট্রের হেফাজতে নেয়ার ব্যাপারে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলন ভুক্তভোগী মোঃ মোকসেদুল হক (৪৫) বলেন, আমি মাছ চাষের জন্য আমার নিজ এলাকার ক্রয়কৃত জমিতে একটি পুকুর খননের উদ্যোগ গ্রহন করি। গত বছরের ৫ এপ্রিল পুকুরের মাটি কাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন প্রতিবেশি ইব্রাহিম (৩০), কেরামত আলী ওরফে কেরু মেম্বার (৬০), সেলিম মিয়া (২৬), সুরুজ আলী (৫২), আক্কেল আলী (৫০) মাসুদ রানা (২৫) সহ কয়েকজন। এদের মধ্যে সেলিম মিয়া ও মাসুদ রানার গ্রামের বাড়ি নীলফামারির ডিমলা থানার বাসিন্দা। বাকিরা সকলে আমার নিজ এলাকার বাসিন্দা।

‘ঘটনার দিন ভেকু দিয়ে পুকুর খননকালে হঠাৎ ভেকুর সামনের অংশ (বাকেটের দাত) ভেঙ্গে যায়। তখন চলন্ত ভেকু বন্ধ হয়ে যায়। কিসের আঘাতে ভেকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে ভেকুর চালক ও ইব্রাহিম গং সেখানে পুনরায় খননকাজ শুরু করে। এ সময় সেখানে আড়াই ফুট লম্বা সীমান্ত ম্যাগনেট পিলারের অস্তিত্ব টের পায়। তখন আমি জমির মালিক হিসেবে উক্ত ম্যাগনেট আমার নিয়ন্ত্রনে নিতে চাই। এটি জাতীয় সম্পদ হিসেবে আমার মাধ্যমে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে হস্তান্তর করতে চাই। কিন্তু উল্লেখিত ইব্রাহিম ও তার সাথে থাকা অন্যান্যরা আমাকে বিভিন্নভাবে প্রলুব্দ করে। তারা ম্যাগনেট পিলারটি নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নেয়। পরবর্তীতে আমি ম্যাগনেট পিলারটি চাইতে গেলে তারা আজ কাল দেই দিচ্ছি করে সময় দিতে থাকে।’

‘আমি পিলারটি জাতীয় সম্পদ হিসেবে সরকারের কাছে হস্তান্তরের জন্য প্রস্তাব দেই। এতে তারা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে আমাকে মেরে ফেলা কিংবা গুম করার হুমকি দেয়। আমি কৌশলে সেখান থেকে কোনো ক্রমে ফিরে আসি। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে আমি এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা শেষে এ ব্যাপারে স্থানীয় কোতোয়ালী থানায় সাধারণ ডাইরি দায়ের করি। এতে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। তারা আমাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চক্রান্ত করছে। এ বিষয়ে আমি আদালতে মামলা দায়ের করি। যা বর্তমানে সিআইডিতে তদন্তাধীন।’

মোকসেদুল হকের অভিযোগ, ‘ময়মনসিংহ কোতয়ালী থানা কিংবা স্থানীয় প্রসাসনের কাছে কোনো ধরনের প্রতিকার না পেয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছে লিখিত আবেদন করি। এখনো পর্যন্ত বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি আপনাদের মাধ্যমে উক্ত পিলারটি উদ্ধার করে রাষ্ট্রের হেফাজতে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষেপর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।একইসাথে আমার ও আমার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।’