English Version
আপডেট : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১১:২৭

পুলিশের বিরুদ্ধে মেয়র প্রার্থীকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ, থানা ঘেরাও

অনলাইন ডেস্ক
পুলিশের বিরুদ্ধে মেয়র প্রার্থীকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ, থানা ঘেরাও

মাদারীপুরের কালকিনি পৌর নির্বাচনে প্রচারণা চালানোর সময় স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী মশিউর রহমান সবুজকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এরপর কালকিনি থানা ঘেরাও করেন সবুজের সমর্থকরা। পরে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী, সবুজের স্বজন ও সমর্থকদের ভাষ্য, গতকাল দুপুরে কালকিনি পৌর এলাকার পালপাড়ায় নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী মশিউর রহমান সবুজ। এ সময় তাঁর ব্যবহূত মুঠোফোনে একটি কল আসে। তাত্ক্ষণিক সেখানে কালকিনি থানার ওসি মো. নাসির উদ্দিন মৃধা গাড়ি নিয়ে হাজির হন। পরে সেখান থেকে সবুজকে পুলিশের গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর থেকে তাঁর আর হদিস মিলছিল না।

এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখিয়ে কালকিনি থানা ঘেরাও করেন সবুজের সমর্থকরা। সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে স্লোগান দেন বিক্ষুব্ধরা। এ সময় কালকিনি-ভুরঘাটা ও কালকিনি-মাদারীপুর আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে থানার সামনে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ান। এতে আহত হন অন্তত ৫০ জন। ভাঙচুর করা হয় বেশ কিছু দোকানপাট। এ সময় পুলিশকে নীরব দর্শকের ভূমিকায় দেখা গেছে।

এদিকে গতকাল বিকেলে সবুজের পরিবারের তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাবাজার ঘাট থেকে শিমুলিয়া ঘাটে রওনা দেওয়া ফেরি ক্যামেলিয়ায় হাজির হন সংবাদকর্মীরা। তখন ফেরিটির ভিআইপি কেবিনে উপস্থিত পুলিশ সুপার মো. মাহবুব হাসান বিষয়টিকে ব্যক্তিগত বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ফেরিটি শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছলে পুলিশ সুপারের গাড়ির ডান পাশ দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মশিউর রহমান সবুজকে গাড়িতে উঠতে দেখা যায়। পরবর্তী সময়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সবুজ জানান, তিনি পুলিশ সুপারের সঙ্গে আছেন। মৃদু স্বরে সবুজ বলেন, ‘আমি ক্যামেলিয়া ফেরির ভিআইপি কেবিনে পুলিশ সুপারের সঙ্গেই ছিলাম। ফেরি শিমুলিয়া ঘাটে ভিড়লে কেবিন থেকে নামিয়ে পুলিশ সুপারের গাড়ির ডান দিক দিয়ে ওঠানো হয়। আমি এখনো পুলিশ সুপারের সঙ্গেই আছি।’

এর আগে মাদারীপুর পুলিশ সুপার মো. মাহবুব হাসান তাঁর সঙ্গে ভিআইপি কেবিনে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে সাংবাদিকদের নিরুত্সাহ করেন। ওই ব্যক্তি প্রার্থী কি না, জানতে চাইলে পুলিশ সুপার এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, ‘যা হচ্ছে নিজে থেকেই হচ্ছে (উইলিংলি)। কাউকে কোনো কিছু জোর করে করা হচ্ছে না। আপনাদের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভালো। এটি সংবাদ করার মতো কোনো বিষয় নয়। প্রার্থী তো কোনো অভিযোগ করেননি। তাঁর পরিবারেরও কোনো অভিযোগ নেই এবং এলাকায় আন্দোলনের কথা বললেও তা থেমে গেছে। আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখেন।’ 

প্রসঙ্গত, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি কালকিনি পৌরসভা নির্বাচন।