English Version
আপডেট : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১১:২৫

হতাশায় ডুবা বিএনপি প্রার্থী যখন বিশ্রামে, ফুরফুরে আ. লীগ প্রচারণায়

অনলাইন ডেস্ক
হতাশায় ডুবা বিএনপি প্রার্থী যখন বিশ্রামে, ফুরফুরে আ. লীগ প্রচারণায়

বিকেল ৪টা। বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী। ঠিক একই সময়ে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। ওই দলটির নেতা-কর্মীরাও মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন একই সময়ে। আওয়ামী লীগের আলোচিত এক ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীও তখন বিশ্রামে। এই হালচাল শনিবারের।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় দলীয় কোন্দলে বিএনপি প্রার্থী হতাশায় ডুবে আছেন। শনিবার বিকেলে গণমাধ্যমকর্মীকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. জয়নাল আবেদীন আব্দু স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, তাঁর প্রচারণা নীরবেই চলছে। দলীয় নেতা-কর্মীরা পাশে আছেন কি-না এমন প্রশ্নে জোরালো কোনো উত্তর না দিয়ে সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসার কথা বলেন। দলের বিষয়টি জেলা নেতৃবৃন্দ সমন্বয় করছেন বলে তিনি জানান।

অন্যদিকে পৌর এলাকার তারাগানে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, ‘দলের নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে শুভাকাঙ্খীরা আমার হয়ে নিরলসভাবে কাজ করছেন। আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ। প্রচারণা করতে গিয়ে আমি যেভাবে সাড়া পেয়েছি তাতে নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয়লাভ করব বলেই আশা করছি।

আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি আখাউড়া পৌরসভার ভোট। ইভিএম পদ্ধতিতে এখানে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। যে কারণে বিশেষ করে মেয়র পদে ভালোবাসার টিপ কার কপালে পড়বে সে নিয়ে চলছে আলোচনা। আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হলেন, সাবেক পৌর মেয়র মো. নুরুল হক ভূঁইয়া ও মো. শফিকুল ইসলাম খান। শনিবার বিকেলে নুরুল হক ভূঁইয়াও বাড়িতে ছিলেন। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তিনি আলোচনা করছেন বলে দাবি করেন। পাশাপাশি সুষ্ঠু ভোট হলে জয়েরও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেয়র পদে মূলত আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে বলে জানা গেছে। আলোচিত বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোবারক হোসেন রতন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় দলটিতে ও দল মনোনীত প্রার্থীর মধ্যে স্বস্তি আসে। এছাড়া তাকজিল খলিফ প্রতিটি বাড়িতে নিজে গিয়ে ভোট চাইছেন বলে বিষয়টি বাড়তি পাওনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এতে দলের নেতা-কর্মীরাও চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। স্থানীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কসবা থেকেও অনেকে এসে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

অন্যদিকে পৌর কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিএনপিতে অস্বস্তি দেখা দেয়। ঘোষিত কমিটির ৩১ জনের মধ্যে ১১ জন পদত্যাগ করায় দলের ও প্রার্থীর মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া বর্তমানে উপজেলা কমিটি না থাকায়ও সাবেক হওয়া নেতারা এগিয়ে আসছেন না। ওইসব নেতারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ভোটের মাঠ থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন। যে কারণে বিএনপি প্রার্থী জয়নাল আবেদীন আব্দু নির্বাচনী প্রচারণায় শুধুমাত্র পৌর কমিটির হাতেগোনা কয়েকজন নেতা ও শুভকাঙ্খীদের নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন।