English Version
আপডেট : ১১ জানুয়ারি, ২০২১ ২০:১১

প্রেমিকের বাড়িতে ৪ দিন অনশনের পর বিয়ের পিঁড়িতে কলেজছাত্রী

অনলাইন ডেস্ক
প্রেমিকের বাড়িতে ৪ দিন অনশনের পর বিয়ের পিঁড়িতে কলেজছাত্রী

বিয়ের দাবিতে চার দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছিলেন কলেজছাত্রী পপি খাতুন। অনড় মনোভাব নিয়ে অনশন করতে থাকেন। নানা চাপ সত্ত্বেও তিনি দাবি থেকে সরে আসেননি। অবশেষে নানা নাটকীয়তার মধ্যে সোমবার বিকেলে পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও  স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।

এ ঘটনা ঘটেছে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার পিপরুল ইউনিয়নের ঠাকুর লক্ষ্মীকোল গ্রামে। 

প্রেমিক সাইফুল ওই গ্রামের সিদ্দিক মন্ডলের ছেলে এবং মৃত সোবাহান মন্ডলের মেয়ে পপির বাড়ি একই গ্রামের সোনার মোড়ে। বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কলিম উদ্দীন। দীর্ঘ দুই বছর প্রেম করার পর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন মাস তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে গাজীপুর জেলার কামরাঙ্গা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। পরে নাটোর আসার পর সাইফুল বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বাসা থেকে পালিয়ে যায়। এতে গত শুক্রবার থেকে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেন পপি।

এর আগে অনশনকারী কলেজছাত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, সাইফুলের সঙ্গে তার দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে ঢাকার গাজীপুরে ভাড়া বাসায় রাখে। তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়।

সম্প্রতি সাইফুলকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে গত শক্রবার সকাল থেকে তিনি বিয়ের দাবিতে সাইফুলের বাড়ির উঠানে অনশন শুরু করেন। এদিকে প্রেমিকার উপস্থিতির টের পেয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান প্রেমিক সাইফুল।

পরে স্থানীয় গণমাধমে ঘটনাটি প্রকাশসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার লোকজন বিষয়টি মীমাংসার সিদ্ধান্ত নেন। চারদিন অনশনের পরে প্রেমিক সাইফুল ইসলাম উপস্থিত হলে দুই পক্ষের অভিভাবকরা ৬ লাখ এক টাকা দেনমোহর ধার্য করে তাদের বিয়ে সম্পন্ন করেন। এ সময় উভয় পক্ষের আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।