English Version
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ২১:৩২

হাজীগঞ্জে আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০

অনলাইন ডেস্ক
হাজীগঞ্জে আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় উভয় গ্রুপের অন্তত ২০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১শ ২২ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করেছে।

মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলালসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের যোগ দেওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু বিকেলে সমাবেশ শুরুর আগে আওয়ামী লীগের অপর একটি গ্রুপ সেখানে হামলা করে সমাবেশের মঞ্চ ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এই ঘটনার পর উভয় পক্ষ দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িতে পড়ে।

নিজেদের মধ্যে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এ সময় হাজীগঞ্জ থানা-পুলিশের সঙ্গে জেলা থেকে আসা দুই প্লাটুন পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা করে।

হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজি মোহাম্মদ মাঈনুদ্দিন বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করি। কিন্তু ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কিছু উচ্ছৃঙ্খল নেতা-কর্মী সমাবেশস্থলে হামলা চালিয়ে স্টেজ ভাংচুর করে। সেই সঙ্গে পৌর ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলায় বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।

হাজীগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাছান রাব্বি দাবি করে বলেন, স্টেজে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি গণ-মানুষের নেতা এবং আমাদের অভিভাবক মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি এর ছবি না থাকায় এবং বিএনপি-জামাতের নেতা-কর্মীদের নিয়ে সমাবেশের আয়োজন করায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ-ফরিদগঞ্জ সার্কেল) মো. আফজাল হোসেন বলেন, দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১শ’ ২২ রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় উভয় গ্রুপের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ঘটনাস্থলসহ হাজীগঞ্জ বাজার এলাকায় পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।