English Version
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ২১:৩১

স্বপন মিয়ার পরিবারকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিলেন ইউএনও

অনলাইন ডেস্ক
স্বপন মিয়ার পরিবারকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিলেন ইউএনও

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার স্বপন মিয়া, বয়স ৪৫ অথবা ৪৭। স্ত্রী, তিন মেয়ে নিয়ে শ্যামগ্রাম বাজার সিএনজি স্টেশনে চা-পানের ছোট একটি ব্যবসা করে ভালোই কাটছিলো তার সংসার। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাসে হঠাৎ দুরারোগ্য লিভার সিরোসিস মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে প্রতিনিয়ত জীবন মরণের যুদ্ধ করে যাচ্ছেন তিনি। চিকিৎসা করতে গিয়ে হারিয়েছেন জমিজমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ নগদ অর্থ। বয়ে বেড়াচ্ছেন এনজিও থেকে উত্তোলন করা ঋণের বোঝাও। স্বপন মিয়ার চিকিৎসা ও ঔষধের জন্য প্রতিদিন প্রায় হাজার টাকার দরকার।

চিকিৎসকগণ বলেছে দীর্ঘদিন উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হলে তাকে সুস্থ করা সম্ভব।  বর্তমানে তার সঠিক ও উন্নত চিকিৎসা করাতে কয়েক লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু অসহায় সম্বলহীন এ পরিবারটির একমাত্র উপার্জন করার কোনো ব্যবস্থা নেই।  এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোষ্ট দেন স্থানীয় শিক্ষক মীর আলি আহম্মদ মনির। যা এলাকায় অনেকটাই ভাইরাল হয়ে যায়।

মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি চোখে পড়লে স্বপন মিয়ার সন্তানদের জন্য নতুন কাপড় চোপড়, শীত সহনীয় কম্বল এক মাসের খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ নিয়ে ছুটে গেলেন নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. একরামুল ছিদ্দিক। 

এসময় তিনি তার তার পরিবারের সবাইকে সান্তনা দিয়ে একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। এছাড়া স্বপন মিয়ার চিকিৎসায় তার পরিবারের পাশে এগিয়ে আসার জন্য দেশে-বিদেশের সকলের নিকট সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন এই শীর্ষ কর্মকর্তা।

এসময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেন বাবুল, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম সবুজ, স্বাস্থ্যকর্মী আলমগীর হোসেন আলম এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

সকলের সহযোগীতা পেলে স্বপন মিয়া দুই বৎসরের মেয়ে তার বাবাকে ফিরে পাবে। মৃত্যুর মুখ থেকে তার স্ত্রী ফিরে পাবে তার ভবিষ্যৎ জীবনের এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।