English Version
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৮:৪৯

যশোরে শীতে জর্জরিত প্রাণ-প্রকৃতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে শীতে জর্জরিত প্রাণ-প্রকৃতি

আবহাওয়া অফিস থেকে বলা হচ্ছিল দিন দুয়েকের মধ্যে কমে আসবে শীতের দাপট। শৈত্যপ্রবাহ কেটে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। এমনকি মাঝখানে একদিন ব্যারোমিটারে তাপমাত্রার পারদ খানিকটা উপরেও উঠেছিল। কিন্তু একদিনের ব্যবধানে পাল্টালো চিত্র। গতকাল রোববার যশোরের তাপমাত্রা ফের নিচে নেমে যায়। এদিন যশোরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

আবহাওয়াবিদদের মতে, তাপমাত্রার স্কেল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে সেটিকে বলে মৃদু ধরণের শৈত্যপ্রবাহ। গত শনিবার যশোরের তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই অর্থে শৈত্যপ্রবাহ কেটে গিয়েছিল। কিন্তু রোববার ফের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসায় আবারো শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলো।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে কয়েক দিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ কমার কথা বলছিল। কিন্তু গতকাল অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে সকাল ৯ টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। আকাশ আংশিক মেঘলার পাশাপাশি আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। রাতের ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। সেই সাথে মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত পড়তে পারে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা।

জানা যায়, পৌষ মাস শুরুর পর গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করে। প্রথম দিকে শুধু শীত পড়তে শুরু করলেও পরের দিকে উত্তরের হিমেল বাতাস বইতে আরম্ভ করে। সেই সাথে গায়ে কাঁপন ধরানো হিমেল বাতাসের সাথে কুয়াশা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। আর গত দুই দিন ধরে মাঝে একদিন বিরতি দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ চলছে।

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকায় গতকালও যশোরে ছিল শীতের প্রচন্ড তীব্রতা। এদিন সকাল থেকেই মেঘে ঢাকা ছিল সূর্য্য। সেই সাথে ছিল হিমশীতল বাতাসের সাথে কুয়াশা। তবে এদিনটিতে বেলা একটার পর রোদের দেখা মেলে। ফলে কিছু সময়ের জন্য উষ্ণতার পরশ পায় মানুষ। কিন্তু বিকেল গড়াতে থাকলে রোদ কমতে থাকায় ফের শীতের দাপট শুরু হয়। সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা অনেক নিচে নেমে যায়।

টানা কয়েক দিনের শীতে কাবু হয়ে পড়েছে যশোরের জনজীবন। হালকা থেকে মাঝারি ধরণের কুয়াশার কারণে সূর্য্যরে আলো ঠিকমতন মাটিতে পৌঁছাতে না পারায় শীতের তীব্রতা আরো বাড়ে। পৌষের গ্লাহিম করা শীতে নি¤œœ আয়ের মানুষের কষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। মাঠে থাকা ফসলের জন্যও বিপদ ডেকে এনেছে। স্থানীয়রা বলছেন, পৌষের গায়ে কাঁপন ধরানো এই শীত অসহনীয় হয়ে উঠেছে। শীত সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। গরম কাপড়েও প্রশমিত হচ্ছে না মারাত্মক এই শীত।

যশোর শহরের রেলগেট এলাকার বাসিন্দা পরিরহন শ্রমিক তুহিন হোসেন বলেন, পরিবহনে হেলপারের (চালকের সহকারী) কাজ করি। অনেক সকালে গাড়িতে যাত্রী নিয়ে রাস্তায় বের হই। গত কয়েকদিন ধরে ঠান্ডা বাতাস। সেই সাথে কুয়াশা। ফলে আমাদের মতন পরিবহন শ্রমিকদের যাদের ঘরের বাইরে রাস্তায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। তাদের একেবারে ঠান্ডায় জমে যাওয়ার মতন অবস্থা হয়।