English Version
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১১:৪১
সূত্র:

মৌলভীবাজারে বেড়েছে শীতের তীব্রতা

মৌলভীবাজারে বেড়েছে শীতের তীব্রতা

গত কয়েকদিন তাপমাত্রা কমে আসায় পাহাড়-হাওর বেষ্টিত মৌলভীবাজার জেলায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। খড়-খুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা। এদিকে ঠান্ডায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে শিশুদের ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে। শীত মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা।

ভোরের কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে শীত নিবারণে আগুন পোহাতে ব্যস্ত শিশু থেকে সব বয়সী মানুষ। কয়েকদিন ধরে পাহাড় বেষ্টিত মৌলভীবাজার জেলায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে কয়েকগুণ। গত কয়েকদিন গড়ে জেলায় তাপমাত্রা নেমে দাঁড়ায় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এতে খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। পেটের তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই কাজে বের হতে হচ্ছে তাদের। এদিকে সকালে রাস্তায় হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চলাচলাল করতে হয় চালকদের। কর্মজীবী মানুষরা জানান, অনেক ঠান্ডা বাইরে বের হওয়া যায় না। আয় রোজকার বন্ধ হয়ে গেছে। শীতের তীব্রতা বাড়ায় ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালগুলোতে শিশু ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। এতে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। দুই অভিভাবক জানান, ঠান্ডায় শিশুর জ্বর চলে এসেছে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার ভর্তির নির্দেশ দেন।

মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. এম এম হক বলেন, মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে এ মুহূর্তে অসংখ্য শিশু ভর্তি রয়েছে। বিশেষ করে শ্বাষকষ্ট ও ডায়রিয়া জনিত সমস্যা নিয়ে বেশি ভর্তি হচ্ছে। ঠান্ডা মোকাবিলায় শীতার্তদের মাঝে পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মল্লিকা দে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আমাদের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। আশা করি আরও আসবে। জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, মৌলভীবাজারের ৭টি উপজেলায় শীতার্তদের মাঝে এখন পর্যন্ত ৪১ হাজার ২০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।