English Version
আপডেট : ৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৫:৪০

বেনাপোল -শার্শার গাছিরা আগাম খেজুর গাছ কাটায় ব্যস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  বেনাপোল -শার্শার  গাছিরা আগাম খেজুর গাছ  কাটায় ব্যস্ত

যশোরের যশ খেজুরের রস এই প্রবাদকে সত্য করে তুলতে আর কয়েক দিনের মধ্যে বেনাপোল ,শার্শাসহ গোটা যশোর জেলা জুড়ে প্রতিটি  গ্রামের ঘরে ঘরে শুরু হবে খেজুরের গুড়- পাটালির তৈরীর মহা উৎসব। বাড়িতে বাড়িতে খেজুরের রস জ্বালিয়ে পিঠা পায়েসসহ নাম না জানা হরেক রকমের  মুখরোচক খাবার তৈরির  ধুম পড়ে যাবে। তাই শীত মৌসুম শুরু হতে না হতেই রস ও গুড়ের চাহিদা মেটাতে গাছিরা ব্যস্ত হয়ে খেজুর গাছ খিলি দিতে শুরু করেছে।ধারালো দা(গাছিদা) দিয়ে খেজুর গাছের সোনালী অংশ বের করে থাকে,যাকে বলে চাঁচ দেওয়া। চাঁচ দেওয়ার সপ্তাহ খানেক পর নোলন স্থাপনের মাধ্যমে শুরু হবে সুস্বাদু খেজুর রস আহরনের কাজ। প্রভাতের শিশির ভেজা ঘাস আর ঘন কুয়াশার চাদর জানান দিচ্ছে শীতের আগমনি বার্তা।এই মৌসুমে খেজুরের রস দিয়ে গ্রামীন জনপদে শুরু হয় শীতের আমেজ। শীত যত বাড়বে খেজুরের রসের মিষ্টি তত বাড়বে। গ্রামীন জনপদে শীতের সব থেকে বড় আর্কষন দিনের শুরুতে শীতের সকালে খেজুরের রস,সন্ধ্যা রস,ও সুস্বাদু গুড়-পাটালি।সুস্বাদু পিঠা ও পায়েস তৈরীতে আবহমান কাল থেকে গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে খেজুরের গুড় ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এখানকার কারিগরদের দানা পাটালি তৈরীতে ব্যাপক সুনাম থাকায় খেজুরের গুড় পাটালির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে  দেশে ও বিদেশে।

শার্শা উপজেলার গোগা কালিয়ানী গ্রামের গাছি জসিম উদ্দীন  জানান,যশোরের এই খেজুরের রস ও পাটালি  গৌরব আর ঐতিহ্যের প্রতিক।গুড় -পাটালির দাম বেশি পাওয়ার জন্য সে জন্য এ অঞ্চালের গাছিরা শীত মৌসুম আসার আগেই খেজুর গাছ থেকে রস আহরনের জন্য আগাম গাছকে প্রস্তুত করে রাখে। আগাম গাছ তোলায় রস ও গুড়ের দাম বেশি পাওয়া যায়। যার এক একটি খেজুর গাছ  রস আহরনের জন্য প্রস্তুত করতে  গাছিকে খরচ করতে হয় প্রায় ১০০ টাকা।তিনি আরো জানান, এ মৌসুমে আমি প্রায় তিন’শ খেজুর গাছ থেকে রস আহরন করবো। তবে সব গাছ আমার একার না। চুক্তিতে অন্যের গাছ থেকে আমি রস আহরন করে থাকি। খেজুর গাছের রস, গুড়-পাটালি বিক্রয় করে করে  খরচ বাদে প্রায় ৩০ হাজার টাকা লাভ হবে বলে তিনি জানান।

উত্তর র্শাশার ডিহি ইউনিয়নের তে-বাড়িয়া গ্রামের গাছি সহিদুল  ইসলাম বলেন, দেশের প্রাচীন জনপদ যশোর জেলা খেজুরের রস,গুড়-পাটালির জন্য বিখ্যাত হওয়ায় আমরা যশোরবাশী হিসাবে গর্ভবোধ করি।

র্শাশা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল বলেন, এবছর সঠিক সমায়ে শীতের আগমন হওয়াতে শার্শা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খেজুরের আহরনের জন্য গাছিরা আগাম খেজুর গাছ গুলো প্রস্তুত করে রেখেছে। এখান থেকে গাছিরা রস আহরন করে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হয়। শার্শা উপজেলাতে প্রায় লক্ষাধিক রস প্রদানকারী খেজুর গাছ রয়েছে। সেখান থেকে গাছিরা খেজুর রস সংগ্রহ করে  বিভিন্ন ধরনের পিঠা ও মিষ্টান্ন তৈরী করে নিকটস্থ বাজারে বিক্রয় করে  আর্থিক ভাবে লাভবান হয়।

 

 

প্রেরকঃ মহসিন মিলন। বেনাপোল প্রতিনিধি।           তারিখঃ ০৫-১২-২০১৯

মোবাইলঃ ০১৭১১৮২০৩৯৪