English Version
আপডেট : ৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৩:৫৪

ঝিকরগাছায় ময়লা আর্বজনা ফেলে কপোতাক্ষ নদী ভরাট করছে ব্যাবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
ঝিকরগাছায় ময়লা আর্বজনা ফেলে কপোতাক্ষ নদী ভরাট করছে ব্যাবসায়ীরা

ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে মহা’কবি মাইকেল মধূসূদন দত্তের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহ্যবাহি কপোতাক্ষ নদ। এক সময় এ এলাকার মানুষ কৃষি কাজসহ দৈন্দিন নানা কাজ সম্পন্ন করতো এ কপোতাক্ষ নদের পানি দিয়ে। যশোরের সুনাম করতে গেলেও এই নদের কথা কেউ বাদ দিতে পারবে না ? আর সেই কপোতাক্ষ নদে আমরা এভাবেই প্রতিনিয়ত ময়লা আবর্জনার মত বিষ। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করতে পারবে না।

কালের বিবর্তনে নদের নব্যতা সংকট,অবৈধভাবে নদের উপর দাড়িয়ে থাকা অবৈধ দখলদারদের অট্টালিকা ও বাঁকড়া বাজারের ময়লা আবর্জনা হরহামেশা ফেলার কারনে নদটি যেমন সরু হয়েছে তেমনি পানির প্রবাহ একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। হারিয়ে ফেলেছে তার ঐতিহ্য চিরচেনা চেহারা ও রুপ যৌবন। সবার কাছে আজ নদটি অবহেলার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু যেন দাড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে। দেখভালের যেন কেউ আর নেই।

বাকঁড়া বাজারের অধিকাংশ ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ ফেলা হচ্ছে ঐতিহ্যবাহি এ কপোতাক্ষ নদে। ফলে দ্রুতই ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদটি। বাড়ছে পরিবশ ও বায়ূ দূষণ। ছড়িয়ে পড়ছে নানা রোগ-ব্যাধি। দূষণে ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে নদের পানি।

সরজমিনে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বাঁকড়া বাজারের ময়লা-আবর্জনা ও পোল্টি মুরগী ব্যবসায়ীদের মুরগীর বিষ্ঠা,উচিষ্ঠাংশ সহ যাবতীয় দূষিত ও বিষাক্ত ময়লা আবর্জনাগুলি হরহামেশা প্রকাশ্যে ব্রীজ ঘাটে কপোতাক্ষ নদে ফেলা হচ্ছে। নদের কিনারায় ময়লা ও বর্জের স্তুুুুুুপে জমে পাহাড় হয়ে দাড়িয়ে আছে। ফলে স্থানটি দিন দিন ভরাট হয়ে যাচ্ছে।ময়লার দূষিত দূর্গন্ধে এলাকার পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে উঠেছে।স্হানীয় ব্যবসায়ী ও ব্রীজের উপর দিয়ে চলাচলরত মানুষের জীবন যেন দূর্বিসহ হয়ে উঠেছে।  ব্রীজ পার হতে হচ্ছে পথচারি-স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের নাক চেপে। নদের পানির স্রোত প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। প্রচন্ড দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশ এলাকায়। অথচ প্রশাসনের নাকের ডগায় এহেন কর্মকান্ড অবাধে চললেও বাধা দেবার যেন কেও নেই।

স্থানীয়রা জানান, কপোতাক্ষ নদে এভাবে ময়লা র্আবজনা ফেলা হলে অদূর ভবিষ্যতে ব্রীজ বানানোর প্রয়োজন হবে না।

বাঁকড়া বাজারের ব্যবসায়ী ও পরিচ্ছন্ন কর্মীরা জানান, বাজারের ময়লা ফেলার জন্য সুনির্দিষ্ট কোন জায়গা না থাকায় নদেই ফেলা হচ্ছে সমস্ত ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ ।

এব্যাপারে বাঁকড়া বাজার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আ: সামাদ দপ্তরী জানান, আমরা বর্ষার পরপরই আমাদের নেতাকর্মীদের ও উপজেলা প্রশাসনের অবগত করেছি। তারা আশ্বাসও দিয়েছেন কিন্তু কবে এর বিকল্প কিছু একটা হবে সেটাও জানা নেই।

এলাকার সচেতন মহল ও সূধীজনেরা ঐতিহ্যবাহি কপোতাক্ষ নদে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ সহ সংশ্লিষ্ঠদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থ গ্রহন ও নদের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করেছে।