English Version
আপডেট : ৩ অক্টোবর, ২০১৯ ০৬:৪১
সূত্র:

না.গঞ্জে ৫০ কোটি টাকার নকল পণ্য জব্দ, আটক ৮

না.গঞ্জে ৫০ কোটি টাকার নকল পণ্য জব্দ, আটক ৮

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আন্তর্জাতিক নামীদামি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোড়কে তৈরি নকল ইলেকট্রনিক ও প্রসাধনী সামগ্রী তৈরির একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে অন্তত ৫০ কোটি টাকা মূল্যের নকল পণ্য সামগ্রী জব্দ করেছে পুলিশ। এছাড়া কারখানাটির আটজন কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার (০২ অক্টোবর) রাতে সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার শিমরাইল এলাকায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এ অভিযান চালায়। পরে কারখানাটি সীলগালা করে দেওয়া হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন, সাইফুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, অহিদুল ইসলাম, রাজীব, মাইনুল ইসলাম, মেহেদী হাসান।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিমরাইল এলাকায় অবস্থিত ম্যাক্স ইলেক্ট্রো ইন্ডাস্ট্রিজ ও মুনস্টার মার্কেটিং প্রাইভেট লিমিটেড নামে একই ব্যক্তির মালিকানাধীন একটি কারখানায় অভিযান চালায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। কারখানাটির ভেতরে কয়েকটি গুদামে বৃহৎ আকারের সনি, স্যামসাং, এলজি ও প্যানাসনিক ব্র্যান্ডের বিপুল পরিমান নকল এলইডি টিভি, এসি, মাইক্রোওভেন সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সামগ্রী মজুদ করা অবস্থায় পায়। পাশাপাশি আরো কয়েকটি গুদামে ফগ, কোবরা, লাবাম্বা, মিলিয়ান ও অরেঞ্জসহ বিদেশি ব্র্যান্ডের বিপুল পরিমাণ বডি স্প্রে এবং এয়ার ফ্রেশনারও মজুদ অবস্থায় পায়। এসময় ওই কারখানার হিসাব রক্ষক কর্মকর্তাসহ নকল পণ্য সামগ্রী তৈরিতে কর্মরত আটজন কর্মচারীকে আটক করে ডিবি পুলিশ।

এদিকে খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।

পরে গণমাধ্যমকে পুলিশ সুপার জানান, কারখানাটিতে উৎপাদিত প্রসাধনী সামগ্রীগুলো বিষাক্ত ও ভেজাল কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি করা হয়, যা ব্যবহারে ক্যান্সারসহ নানা ধরনের জটিল চর্মরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে। এছাড়া এখানে উৎপাদিত এসব নকল প্রসাধনী সামগ্রী ও ইলেকট্রনিক পণ্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাজারজাত করে মানুষকে প্রতারিত করার পাশাপাশি সরকারের বিরাট অংকের কর ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ আরো জানান, হাজী বেলায়েত হোসেন নামে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার এক ব্যক্তি এই নকল কারখানাটি দীর্ঘদিন যাবত পরিচালনা করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে এবং তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি আটককৃতদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া আইনশৃংখলা বাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।