English Version
আপডেট : ২৭ জুলাই, ২০১৯ ১৪:২৯
সূত্র:

জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ

জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ

অবরোধ শেষে গভীর সমুদ্রে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ ধরা পড়ায় আনন্দ বয়ে যাচ্ছে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্যজীবিদের। এতে বাজারে কমতে শুরু করেছে ইলিশ মাছের দাম। এদিকে মৎস্যজীবীরা বলছেন, সমুদ্রে মাছ ধরা পড়া অব্যাহত থাকলে অবরোধে জেলেদের ঋণের বোঝা কমার সাথে সাথে দেশের মানুষ কম দামে ইলিশ পাবেন। আর সমুদ্রে মাছ বাড়াটা গত ৬৫ দিনের অবরোধেরই সুফল বলে দাবি অবতরণ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের।

রাত পোহালেই এখন মাছ ভর্তি শত শত ট্রলার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আসছে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে। প্রতিটি ট্রলার থেকে অবতরণ কেন্দ্রে মণকে মণ ইলিশ নামছে। আর সমুদ্রে গিয়েই রুপালী ইলিশের দেখা পেয়ে এখন অবরোধের সময়ের ঋণের বোঝা কমানোর স্বপ্ন দেখছেন জেলেরা।   এদিকে সমুদ্রে মাছ ধরতে পারায় প্রায় দু’মাস পাঁচ দিন পর আবারো জেলে, পাইকার, শ্রমিক ও আড়ৎদারদের হাঁকডাকে মুখরিত অবতরণ কেন্দ্রের টলঘরগুলো। মাছ বেচাকেনা ও কেনা মাছে বরফ দিয়ে দেশের বিভিন্নস্থানে পাঠাতে ব্যস্ত সবাই। আবারো প্রাণ ফিরে এসেছে অবতরণ কেন্দ্রটিতে।

মাছ বাড়তে থাকায় কমতে শুরু করেছে মাছের দাম। মাছ ধরা পড়ার পরিমাণ আরও বাড়লে দাম আরও কমবে বলে মনে করেন মৎস্যজীবীরা।

অবতরণ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ লে: এম নুরুল আমিন বলেন, নিষেধাজ্ঞা সঠিকভাবে পালন করায় মাছ বাড়তেই থাকবে। আর অবতরণ কেন্দ্রে মাছ বাড়লে বাড়বে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও।

উল্লেখ্য, গত ৬৫ দিনের অবরোধ চলাকালে নদী থেকে ধরা ইলিশের মণ ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন বাজারে সামুদ্রিক ইলিশ আসায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায় প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ইলিশ।