একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে ভোটার বেড়েছে ৪০ হাজার ৭৬৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২০ হাজার ৮৮৪ ও মহিলা ভোটার ১৯ হাজার ৮৮৩ জন। এই আসনে বর্তমানে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৭৯১। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭৮ হাজার ৩৯৪ ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ৩৯৭ জন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৩ লাখ ৯ হাজার ২৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ছিল ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫১০ ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ৫১ হাজার ৫১৪ জন।

এছাড়াও এবার ভোট কেন্দ্রের সংখ্যাও বেড়েছে ২৬টি। এতে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১২৭টি। যা দশম সংসদ নির্বাচনে ছিল ১০১টি। ভোট কক্ষ বেড়েছে ১০৩টি। ফলে এবার ৬৯৩টি কক্ষে ভোটার তাদের ভোট প্রয়োগ করবে। দশম সংসদ নির্বাচনে ভোট কক্ষ ছিল ৫৯০টি।

এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে এই আসনে প্রধান দুটি জোটের সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমাও দিচ্ছেন। এরমধ্যে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমা দেয়া সম্পন্ন হলেও চলমান রয়েছে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির। বিভিন্ন তথ্য মতে এ পর্যন্ত সবগুলো দল থেকে ৪৩ জন মনোনয়ন যুদ্ধে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। তারা হলেন,

এ আসন আওয়ামীলীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বর্তমান সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজী, শিল্পপতি ও আওয়ামীলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রফিক, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই ভূইয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মোল্লা, সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাজাহান ভূইয়া, সহ-সভাপতি খন্দকার আবুল বাশার টুকু, ইঞ্জিনিয়ার শেখ সাইফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক ভূইয়া, প্রচার সম্পাদক ও জেলা যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মানজারী আলম টুটুল, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল আজিজ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান ভূইয়া সজিব, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও রূপগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হারেজ, মুক্তিযুদ্ধকালীন রূপগঞ্জ থানা কমান্ডার আব্দুল জাব্বার খান পিনু, আওয়ামীলীগ নেতা ব্যারিষ্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ, মোশারফ হোসেন বাবু, কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভানেত্রী ডাঃ খালেদা খানম, দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও দাউদপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হোসেন ভূইয়া রানু, ভুলতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন ভূইয়া, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, উপজেলা শ্রমিকলীগ নেতা মতিউর রহমান আকন্দ, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য কামরুল হাসান তুহিন, মিজানুর রহমান মিজান ও শীলা রানী পাল, উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম চৌধুরী অপু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান মেহের, সাধারণ সম্পাদক নাঈম ভূইয়া, মুড়াপাড়া সরকারি কলেজের ভিপি শাহরিয়ার পান্না সোহেল ও আওয়ামী লীগ নেত্রী মাহনুর সুলতানা মুনমুন, আওয়ামীলীগ নেতা জাহেদ আলী ও শাহিন আলম।

এ আসন থেকে বিএনপির দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ৭ জন। তারা হলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূইয়া, রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান হুমায়ন, বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা দুলাল হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ এবং রূপগঞ্জ জেলা যুব সংহতির সভাপতি ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মনোনীত প্রার্থী  মুফতি ইমদাদুল্লাহ হাসেমী মনোনয়ন ফরম তুলেছেন।

বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সদস্য মনিরুজ্জ্বামান চন্দন মনোনয়ন ফরম তুলেছেন।