English Version
আপডেট : ১৬ আগস্ট, ২০১৮ ১২:৩২

ফেরি সংকটে দীর্ঘ ৪ কিলোমিটার যানজট

অনলাইন ডেস্ক
ফেরি সংকটে দীর্ঘ ৪ কিলোমিটার যানজট

ফেরি সংকটের কারণে শরীয়পুরের নরসিংহপুর ঘাটে চার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে আটকা পড়েছে ৪ শতাধিক যানবাহন।

শরীয়তপুরের নরসিংহপুর-চাঁদপুর হরিণাঘাট নৌরুটে ফেরি সংকট লেগেই রয়েছে। এ কারণে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় ৪ শতাধিক ছোট বড় যানবাহন।

ফলে বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) সকাল ১০টায় এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই রুটের চলাচলকারী বিপুলসংখ্যক যাত্রী।

এছাড়াও শরীয়তপুরের নরসিংহপুর নৌরুটের শরীয়তপুর ফেরিঘাট এলাকায় ডুবোচরের কারণে নদীর নাব্যতা কমে গেছে। তাই ঠিকভাবে ফেরি চলাচল করতে পারছে না।

বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানা গেছে, শরীয়পুরের নরসিংহপুর প্রান্তে আটকা পড়েছে প্রায় ৪ শতাধিক গাড়ি। এর মধ্যে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, ও ছোট আরও অনেক যানবাহন।

ঘাট সূত্রে জানায়, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে এ রুটে গরু বহনকারী ট্রাকের চাপ বেড়েছে। তাছাড়া ইব্রাহিমপুর-হরিণাঘাট নৌ-রুটে নদী পারাপারের জন্য মাত্র দুটি ফেরি রয়েছে। ফলে সঠিক সময়ে যানবাহনগুলো পারাপার করা সম্ভব হচ্ছে না।

শরীয়তপুর নরসিংহপুর ঘাটের বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার আব্দুস সাত্তার জানান, নরসিংহপুর-হরিণা ঘাটে মাত্র ২টি ফেরি রয়েছে। ফেরি সংকটেরর কারণে ঘাটের যানবাহনগুলো সঠিক সময় পারাপার করা যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, মাওয়া থেকে বড় একটি ফেরি আনা হচ্ছে। ওই ফেরিটি এলে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহনের চাপ অনেকটাই কমবে বলেও জানান তিনি।

শরীয়পুরের নরসিংহপুর নৌরুট ছাড়াও বেশ কয়েকদিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলার প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে সীমিত আকারে ফেরি চলাচল করছে।

কে-টাইপগুলো ফেরি এ্যাম্বুলেন্সসহ হালকা, ছোট গাড়িগুলোকে নিয়ে যাতায়াত করছে। নাব্যতা সংকটের কারণে গেল কয়েকদিন ধরেই ফেরি চলাচল ব্যহত হচ্ছে এ নৌরুটে।

গত মঙ্গলবার ভোর থেকে সীমিত আকারে কে-টাইপ ফেরি চলাচল শুরু হয়। ফেরি বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় গাড়ির দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়। এর আগে রাত ১২টার দিকে নৌরুটে সব ধরনের ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মো: খালেদ নেওয়াজ বিডি২৪লাইভকে জানান, লৌহজং চ্যানেলের পাশ দিয়ে কে-টাইপ ফেরি চলাচল করছে। হালকা, ছোট গাড়িগুলোকে ফেরির মাধ্যমে পার করে দেওয়া হচ্ছে। নাব্যতা সঙ্কটের কারণে বেশি লোড ফেরিতে নেওয়া যাচ্ছে না। চ্যানেলে ড্রেজিং করে নাব্যতা সংকট নিরসনের কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।