English Version
আপডেট : ১৪ আগস্ট, ২০১৮ ১২:১০

রূপগঞ্জে লাঠিয়াল বাহিনীর চাঁদাবাজি

অনলাইন ডেস্ক
রূপগঞ্জে লাঠিয়াল বাহিনীর চাঁদাবাজি

রূপগঞ্জে পুলিশের সহায়তায় নিয়োমিতভাবে লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে বখরার নামে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের চোখের সামনেই চলছে মেয়াদ উর্ত্তীন ও ফিটনেন্স বিহীন গাড়ি। এতে নেয়া হচ্ছেনা তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ। এছাড়াও অভিযোগ উঠেছে, পুলিশ ও স্থানীয় লাঠিয়াল বাহিনীর মদতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের উপর দাঁড় করে যাত্রীবাহী পরিবহন ও ট্রাক থেকে নেয়া হচ্ছে বখরা (চাঁদা)। এ বখরা বা চাঁদা তুলতে একদল লাঠিয়াল বাহিনীকে নিয়োগ দিয়েছেন ডিউটিরত অফিসাররা। এ পয়েন্টে যে সময় যে ডিউটি করে এরা তাদের আন্ডারেই কাজ করে থাকে। এদের মধ্যে আছে বকুল, আজিজ, ফারুক, পা ভাঙ্গা শহিদ, সুন্দর আলী, শহিদুল্লাহসহ আরো অনেকে (এদের সবার হাতে থাকে মোটা লাঠি)। এ ছাড়াও নতুন করে যোগ দিয়েছে ফ্লাইওভারের কয়েকজন সিকিউরিটি গার্ড।

বখরা তুলতে যাতে আর কোনো সমস্যা না হয় তার জন্য সোনারগাও শিংলাব থেকে কাঞ্জনের নলপার্থ ও বরপা থেকে আধুরীয়া পর্যন্ত প্রতিদিন কৃত্রিমভাবে র্দীঘ যানজট সৃষ্টি করা হচ্ছে। সাংবাদিক বা সাংবাদিকের-ক্যামেরা দেখলেই বলে উঠে আমরা পুলিশের লোক। সেখানে পুলিশকে দেখা যায় নীরব দর্শকের মত। তবে পুলিশ বলছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও হাইওয়ে সড়কের ফ্লাইভারের র্নিমাণ কাজ চলায় এ ধরনের যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। আর উল্লেখ্য পরিবহন থেকে যারা বখরা তুলছেন তারা কিন্তু পুলিশের লোক না। এদের বিষয়ে পুলিশ কিছুই জানে না। তাদের দাবি, কৃত্রিমভাবে যানজট সৃষ্টি করা হচ্ছে না। গাড়ির চাপেই যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে প্রতি মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার এ দুই দিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও হাইওয়ে সড়কের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে র্দীঘ যানজটের চিত্র দেখা যায়। বিশেষ করে শিংলাব থেকে নলপার্থ ও আধুরীয়া থেকে বরপা পর্যন্ত রাস্তায় সব ধরনের পরিবহন দীর্ঘক্ষণ স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। গোলাকান্দাইল থেকে পার হতে প্রতিটি পরিবহনের এক থেকে দেড় ঘন্টার উপরে সময় লাগে।

যানজটের কারণ অনুসন্ধানে দেখা যায়, গোলাকান্দাইল থেকে ভূলতা চারটি পয়েন্টে লুঙ্গি-জামা পরিহিত একদল বখরা আদায়কারীরা প্রায় প্রতিটি পরিবহন থেকেই ৫০ থেকে ১০০ টাকা তুলছে। তাদের বখরা তোলার এ তৎপরতা সাংবাদিকের ক্যামেরায় ধরা পড়ে। তাদের থেকে কয়েক গজ দূরেই দাঁড়িয়ে থাকে ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ সদস্যদের। এদের লাঠির ইশারায় পরিবহন থামিয়ে চলছে বখরা আদায়। অনেক সময় পরিবহনের ভিতরে ঢুকেও বখরা আদায় করা হচ্ছে। মূলত তাদের এ বখরা তোলার কারণেই সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। গণপরিবহনের চালকরাও যানজটের জন্য সাংবাদিকের কাছে বখরা তোলাকে দায়ী করেন। তাদের অভিযোগ, প্রতিদিন যতবার যাতায়াত করা হচ্ছে আর ততবারই ৫০ থেকে ১০০ টাকা বখরা দিতে হচ্ছে। যারা বখরা তোলে তাদের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের যোগাযোগ আছে। বখরা না দিলে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে তাদের। সুমন ও রনি নামের দুই ট্রাকচালক বলেন, তারা ট্রাকে করে গাজীপুর-চট্রগ্রাম বিভিন্ন মালামাল বহন করে। চট্রগ্রাম থেকে ঢাকায় আসার পথে গোলাকান্দাইল পয়েন্টে প্রতিবার চাঁদা দিতে হচ্ছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় টিএসআই দেব কুমার, টিএসআই নুরুজামান, জসিম, মোস্তফা, সার্জেন্ট রফিক এ বখরার সাথে জড়িত। এ ছাড়াও তারা গাড়ী রিকিউজেশনের নামে প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা।

এ ব্যাপারে অফিসাররা বলেন আমরা কোন টাকা নেই না। আমাদের লাইনে প্রতিদিন দুইটি করে গাড়ী দিতে হয় তাই আটক করে গাড়ি পাঠিয়ে দেই। টাকা নেয়ার কথা সর্ম্পন মিথ্যা। pressnarayanganj.com